শুভ বিজয়া দশমী আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই, মণ্ডপে-মণ্ডপে এখন বাজছে বিদায়ের সুর।
সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ধুমধামের সাথে পালিত হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নারায়ণগঞ্জে উদযাপিত হয়েছে এবারের শারদ উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের মা দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়ার। অতীতের ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারও নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩ নং মাছঘাট এলাকায় প্রস্তুত করা হচ্ছে বিসর্জন মঞ্চ। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই বিসর্জন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে, প্রতিটি মণ্ডপে মন্ডপে এই তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিসর্জন মঞ্চ প্রস্তুতের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের লোকজনকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন প্রতিমা বিসর্জনের স্থানের বিভিন্ন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করছেন। বালি এবং ইটের খোয়া ফেলে জেটি ঘাটের রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলছেন। তাছাড়া পুরো জায়গাটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। অতীতের ঐতিহ্য ধরে রেখে এবারও শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয়া দশমী পালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।