নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ব্যাংক কলোনি এলাকায় হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে মাদক। ধ্বংসের মূখে পতিত হচ্ছে যুব সমাজ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। অবাধে মাদকের ছড়াছড়ির ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড বেড়েই চলছে।
আর এ মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রন করছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কৃষ্ণা। মাদক বেচাকেনায় কৃষ্ণা গড়ে তুলেছে বিশাল একটি সিন্ডিকেট। এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায়না। এরফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই খানপুর ব্যাংক কলোনি ছোট মসজিদ এলাকাসহ বিভিন্ন স্পটে চিহ্নিত মাদক কারবারি কৃষ্ণা ও তার সহযোগীরা দিনে দুপুরে অবাধে মাদক বিক্রি করছে। একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তারের পরও কৃষ্ণার মাদক বিক্রির দৌরাত্ম কোনো কিছুতেই কমছে না।
নাম না প্রকাশের শর্তে ওই এলাকার বাসিন্দা একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, ব্যাংক কলোনি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। উঠতি বয়সি তরুণ-তরুণীরা ধ্বংস হচ্ছে। গড়ে উঠছে ছোট-বড় কিশোর গ্যাং। অভিভাবক মহল রয়েছে চরম বিপাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অনেকে চুরি-ছিনতাই করছে।
গৃহবধু সূখী বলছেন, ঘরের বারান্দা ও ছাদে কোন কিছু রেখে শান্তি নেই। কাপড়-চোপড়সহ মূল্যবান জিনিষপত্র মুহুর্তের মধ্যে নাই হয়ে যায়। ঘরের জানালা খোলা রাখলেই ভিতরে রাখা মোবাইল, মানিব্যাগ, গয়নাসহ দামি দামি জিনিষ অভিনব কায়দায় চুরি করে নিয়ে যায়।
পথচারী রুবেল বলেন, মাদকসেবীর অত্যাচারে নিরাপদে রাস্তা দিয়ে একা চলাফেরাটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। হাতে থাকা মোবাইল, ব্যাগ মুহুর্তেই ছোঁ মেরে টান দিয়েই দৌড়। আবার অনেক সময় ছুরি দাহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ সব কিছু কেড়ে নেয় ওরা। ডাক চিৎকার করলেও এদের প্রতিরোধ করতে কেউ এগিয়ে আসেনা।
সমাজ পতিরা বলছেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। মাদক সিন্ডিকেট শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। তা না হলে সমাজে এই মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কেউই নিরাপদ নয়।