নারায়ণগঞ্জে শহরের চাষাড়াস্থ রবিদাসপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভ উদ্বোধন করলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল চারটায় শারদীয় দুর্গাপূজার ষষ্ঠীতে শহরের চাষাড়ায় অবস্থিত রবিদাসপাড়া সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং ফিতা কেটে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, আমি শুনেছি পূজা করার সামর্থ্য নেই, দরিদ্র বলেই এখানে অনেকেই আসে না। আমি বলেছি আমার মা দুর্গার প্রথম দর্শনেই শুরু হবে এই দরিদ্র রবিদাস পাড়া পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের মধ্যে দিয়ে।
আমি এসপিকে নেওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করবে এবং আমি চাইলে অনেক বড় বড় পূজা মন্ডপে যেতে পারি। কিন্তু গরিবদের ওখানে যাওয়ার এটাই একটা সার্থকতা আছে । আর বড়লোকদের জায়গায় যাওয়াটা তেলের মাথায় তেল ডালাটাই সার্থকতা।
ঈশ্বর সবার ঈশ্বর, ঈশ্বর কখনো ভাগ করা যায় না। যে বড়লোক আছে সে যেমন ঈশ্বর কে দেখে যে গরিব সেও কিন্তু ঈশ্বরকে দেখে। ঈশ্বরের রূপ কিন্তু একটাই। ঈশ্বরকে আপনি যেভাবেই ডাকে তিনি সেভাবেই আপনাকে সাড়া দিবে।
তিনি আরও বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের একটি কথা আছে, জীবে প্রেম করেছে যে জন সে জন পেয়েছে ঈশ্বর। জীবের ভিতরে, জীবনের ভিতরে ও মানবাধিকার ভিতরে ঈশ্বর লুকায় যা অন্য কোন কিছুর ভিতরে নাই। সুতরাং আপনারা যারা আছেন নিজেদেরকে কখনো ছোট মনে করার কিছু নেই।
আমরা কেউ না কেউ কৃষক ও শ্রমিকদের ঘরের সন্তান। আমাদের মেধা ও চেষ্টা দিয়ে কিন্তু আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। আপনারও আপনাদের চেষ্টা ও মেধা দিয়ে আপনারও একদিন আমার মতন প্রত্যুষ হবেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি কর্ম ঠিক রাখতে হবে নিজের আদর্শ ও নীতিকে ঠিক রাখতে হবে তাহলে একদিন আপনারা আপনাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) নজরুল ইসলাম, হরিদাসপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নারায়ণ দাস।
এছাড়াও টানবাজার হরিজন সিটি কলোনি ও মিনাবাজার শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়া পূজা মন্ডপ পরিদর্শন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শারদীয় দুর্গোৎসবর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।