গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামীলীগের পতনের পর পালিয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যু ও ছিচকে সন্ত্রাসী বিটু ওরফে সালাউদ্দিন বিটু। সে পালিয়ে গেলেও শ্যালক রাকিব ও তার অনুসারীদের নেতৃত্বে এখনো চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য।
শুধু মাদকই নয়, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, ভুমিদস্যুতাসহ সকল অপকর্ম করছে এই বাহিনী, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ী মিঠু, আল আমিন, অমিসহ সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মাদক ব্যবসাসহ বিটুর সকল অপকর্মের হাল ধরেছে তারই শ্যালক রাকিব।
স্থানীয়রা বলছে, শামীম ওসমানের বেয়াই লাভলু ও মুন্নার শেল্টারে ছিচকে মাদক বিক্রেতা থেকে মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলে বিটু। একাধিকবার গ্রেফতার হওয়া বিটু জেলার সবচেয়ে বড় মাদক সম্রাট হিসেবেই পরিচিত ছিলো। পাশাপাশি, মানুষের জমি দখল, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সবই করতো সে।
এতো কিছুর পরও ঐ দুই নেতার শেল্টারে বারবার আইনের হাত থেকে রক্ষা পায় সে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শ্যালক রাকিব, মিঠু, আল আমিন, অমিসহ বিশাল বাহিনী নিয়ে অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ছাত্র-জনতার উপর।
ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে গাঁ ঢাকা দেয় এই বিটু ও তার শেল্টারদাতারা। এরই মাঝে, ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বজনরা বেশ কয়েকটি মামলা করে তার বিরুদ্ধে। তবে, এখনো বহাল তবিয়তে আছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারী, মাদক ব্যবসায়ী রাকিব, মিঠু, আল আমিন, অমি ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিটু পালিয়ে গেলেও রাকিব ও তার অনুসারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদনগর, ডিয়ারা, সুকুমপট্টি, তামাকপট্টি, নলুয়া, মুসলিম নগরসহ গোগনগর ও আশেপাশের সকল এলাকার জনসাধারণ। তারা বলছে, বিটু পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী বেশ খুশী ছিলো।
কেননা, মাদকের ভয়াল হাত থেকে যুবসমাজ এবার রক্ষা পাবে বলে তারা ধারণা করেছিলো। কিন্তু বিটুর শ্যালকের নেতৃত্বে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নতুন করে মাদক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সর্বত্র। শুধু মাদকই নয়, নিরীহ মানুষের জমি দখল, ছিনতাই-চাঁদাবাজিতেও ওস্তাদ এই বাহিনী।
১৮নং ওয়ার্ডবাসী ও গোগনগরবাসীকে বাঁচাতে বিটুর মাদক সাম্রাজ্য উৎখাত ও তার শ্যালকসহ বাহিনীর সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। শীঘ্রই যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
এ বিষয়ে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।