২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সাত দফা দাবি পেশ করেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা বলেন, ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকার প্রভু রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে এবং বিডিআর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে বিচারের নামে ফ্যাসিস্টরা ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে হত্যা করেছে। এছাড়াও ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এসকল বিডিআরের সদস্যরা তাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সাত দফা দাবিতে বিডিআর সদস্যরা উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকুরিচ্যুত সকল পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
হত্যাকাণ্ড মামলায় হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্ত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানার ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ ও মৃত সবার পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে হবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক সাবেক বিডিআর সদস্য মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সিপাহী আল আমিন, সিপাহী সাইদুর রহমান, সিপাহী রনি আহমেদ, সিপাহী কাজী সৌরভ, সিপাহী মৃণাল, সিপাহী শহিদুল ইসলাম, সেলিমসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।