বকেয়া মজুরি পরিশোধ, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান করাসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইলে অবস্থিত এইচ. এন এ্যাপারেলস লিঃ এর অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ ২নং রেলগেইট চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কারখানার শ্রমিক ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সহসভাপতি হাসনাত কবির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহসভাপতি আনোয়ার খান, কারখানার শ্রমিক ফারজানা প্রমুখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। নতুন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন ও রাষ্ট্রপরিচালনা করছে। মাত্র ৫ দিন পর ১০ আগস্ট কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করে বিগত ৭০ দিনের বেতন পরিশোধ না করে।
এই কারখানার মালিক যখন তখন শ্রমিক ছাঁটাই করে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা পরিচালনা করে না। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান করে না। নারী শ্রমিকদের রাত্রীকালীন কাজ করায় আইন না মেনে। কারখানায় নারী শ্রমিকদের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা না দিয়ে ছাঁটাই করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত জুলাই মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার লাগাতার আন্দোলনে তৎকালীন আওয়ামী সরকার কারফিউ জারি করে এবং সারাদেশে সকল প্রতিষ্ঠানে সবেতনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ওই ছুটিতে কারখানার মালিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করেছে। তাই কারখানার শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিতের কারণে ক্ষুব্ধ।
নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জ জেলার কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান দ্রুত সংকট নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নতুবা ছাত্র শ্রমিক জনতা এ বিষয়ে সকল শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। আর এর জন্য দায়ী থাকবেন উক্ত কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তাই নেতৃবৃন্দ জুন-জুলাই ২ মাস এবং আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধসহ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করার দাবী জানান।