নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

বন্যার্তদের পাশে ১০ বছরের শিশু নওশীন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:৩৭, ২৩ আগস্ট ২০২৪

বন্যার্তদের পাশে ১০ বছরের শিশু নওশীন

বন্যার্তদের সাহায্যার্থে পাশে দাড়িঁয়েছেন দশ বছরের শিশু নওশীন হাসেম বন্যায় অসহায়দের শিশুদের দ্রুত উদ্ধারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে তৃতীয় শ্রেণী এই ছাত্রী

২৩ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীররা অর্থ সংগ্রহে তহবিলে অর্থ (২০ হাজার টাকা) প্রদান করেন নওশীন পরিবার সময় ছিলেন নওশীনের মা দিপা হাসেম, বড় বোন খুশবু হাসেম জারা ভাই সায়রাজ হাসেম তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু পরিবার

দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্রগ্রাম,খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে শত-শত পরিবারের সহায়-সম্বল এই মুহূর্তে সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো সবচেয়ে জরুরি কাজ বলে মনে করছেন শকু পরিবার

সেই জন্য শিশু নওশীন ভাই বোনদের প্রতিদিনের জমানো বাড়ি ব্যাংক শুক্রবার দুপুরে ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা পান এতে বন্যার্ত শিশু তাদের পরিবার সদস্যদের পাশে দাড়ানো জন্য নওশীন অর্থ শিক্ষার্থীদে তহবিলে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেঅলনের সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মনা উপস্থিতে শিক্ষার্থী অর্থ তহবিলে জমা দেন নওশীন

কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু পত্মী দিপা হাসেম জানান, প্রতিদিন স্কুল যাবার টিফিন থেকে বাড়ি ব্যাংকে অর্থ জমা করে আমাদের তিন সন্তান ওদের সহযোগিতায় এপ্রিল মাসের টানা চারদিন তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়

হঠাৎ ফেনী কুমিল্লা সহ কয়েকটি জেলা বন্যায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টিভি খবরে দেখে তিন ছেলে মেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এতে শুক্রবার বিকালে বাড়ি ব্যাংক ভেঙ্গে প্রায় ২০ হাজার টাকা আমার হাতে তুলে দেয় বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য

শিশু নওশীন হাসেম, ছেলে সায়রাজ মেয়ে জারা এমন উদার আমাকে আবারো গর্বিত করেছে ওরা সবাই তার বাবা কাউন্সিলর শকু জনগণের কল্যাণময় কাছে অনুপ্রেরণায় ছায়া দেখতে পেয়েছি

এদিকে খশবু হাসেম জারা বলেন, ছোট বোন নওশীন সকাল থেকে বাড়ি ব্যাংকে জমানো টাকাগুলো বন্যার্তদের মাঝে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন পরে দুপুরে ব্যাংক ভেঙ্গে ব্যাংকে জমানো অর্থগুলো মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয় বিকালে বাবা-মা সহযোগিতায় শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের তহবিলে জমা দিয়েছি খুব ভালো লাগছে আমাদের ভাই-বোনের মধ্যে হঠাৎ বন্যা কারণে মানুষের পাশে দাড়িতে পেরে আমরা সবাই বাবা আদর্শে মানুষের কল্যাণে থাকতে চাই

সম্পর্কিত বিষয়: