নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও হুমকির ভয়ে টিংকু রঞ্জন দাস (৫৪) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ্ওই লাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার এ ঘটনাটি ঘটলেও চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার (১১ আগষ্ট) ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান টিংকু রঞ্জন দাস। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, বুধবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের একটি দল কারখানায় আসে। তারা মালিকের কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। টেবিলের সামনে ধারালো অস্ত্র রেখে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে স্ট্রোক হয় তাঁর। পরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জে একটি হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কারখানার শ্রমিক মোহাম্মদ পনির বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ ৪০ জনের একটি দল কারখানায় আসে। তারা মালিকের কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। টেবিলের সামনে ধারালো অস্ত্র রেখে ভয়ভীতি দেখায়। এসব দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্কে স্ট্রোক হয় তাঁর। পরে প্রথমে নারায়ণগঞ্জে একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্যবসায়ীর ভাই রিংকু দাস বলেন, আমার ভাই কোনো রাজনীতি করত না। যারা চাঁদা চাইতে এসেছিল, তারা কোনো দল করে না। ওরা নয়ামাটি এলাকায় সন্ত্রাসীপনা করে আর চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রাখে। ভয়ভীতি দেখানোর কারণে আমার ভাইটা মারা গেল। আমরা লাশ আমাদের পৈতৃক ভিটা কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছি। ফিরে এসে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কারা চাঁদা দাবি করেছে জানতে চাইলে রিংকু দাস বলেন, আমরা অধিকাংশকেই চিনি না। তবে জিমখানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রনি, শাহ আলমের লোকজন তাদের বাহিনী নিয়ে এসেছে।
কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটা আজকেই জানতে পেরেছি। এত দিন পুরো শহরে পাহারা বসিয়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেছি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।
ভুক্তভোগীর পরিবার ফিরে এলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সন্ত্রাসীরা সুযোগসন্ধানী। তারা বিভিন্ন দুর্বল মানুষকে টার্গেট করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।