কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র জনতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে হত্যার দায় নিয়ে অবিলম্বে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে শোক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শহরে শোক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মন্টু ঘোষ, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ, সিপিবি জেলার নেতা দুলাল সাহা, ইকবাল হোসেন। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে কারফিউ, সেনা, বিজিবি প্রত্যাহার করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। স্কুল-কলেজের নিরিহ শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে জনমনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অবিলম্বে গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নির্যাতন বন্ধ, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দখলদারিত্ব বন্ধ করে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ কওে বলেন, আহতদের মধ্য থেকে প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী আজ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জন; জনমনে ধারনা মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। ফলে এ সংশয় দূর করতে নিহত-আহতদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ উদ্ভুত রাজনৈতিক সংকটের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করে সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানানো হয়।