নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৭:৪৩, ২৫ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে চলা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এতে করে নারায়ণগঞ্জের সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে । প্রায় প্রতিটি সবজির দামই কেজিতে ১০ টাকার বেশি কমেছে। 

 

তবে অন্যান্য নিত্যপণ্য নিয়ে তেমন সুখবর নেই, দাম আগের মতোই রয়েছে।

সরজমিনে বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই ) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি কাঁচাবাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

 

দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন (লম্বা) মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় ও ঝিঙা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি করলা ৮০-৯০ টাকায়, টমেটো ১৬০-১৭০, শসা ও পটল ৬০ ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৪০-৫০, বরবটি ৭০-৮০ ও গাজর ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

 

এদিকে কারফিউয়ের আগে বাজারে প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লাউশাক প্রতি আঁটি ৫০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লালশাক ২০ টাক ও মুলাশাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

 

এছাড়াও আলু ৫৫ টাকা, পিঁয়াজ ১১০টাকা, আদা ২৮০ টাকা ও রসুন ২০০ থেকে ২২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

 

দিগুবাবুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আড়তে মালের সরবরাহ বেড়েছে। সবজির দাম কিছুটা কমেছে। দু-একদিনের মধ্যে অন্যান্য পণ্যের দামও কিছুটা কমতে পারে। 

 

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই ও কাতল ৩৫০-৭০০ টাকা কেজি, চাষের চিংড়ি ৫৫০-৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১২০০-১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা ৫০০-৭০০ টাকা, পাঙাশ ও তেলাপিয়া ২০০-২৫০, শিং ও মাগুর ৪০০-৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চাষের ট্যাংরা ৬০০-৭০০, দেশি ট্যাংরা ১০০০-১২০০ টাকা, কাচকি ও মলা মাছ ৫০০-৭০০ টাকা ও বাতাসি ৭০০-১২০০ টাকা কেজি।

 

এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই সোনালী মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

 

দিগুবাবুর কাঁচাবাজারে বাজার করছিলেন রাজু আহমেদ নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, সবজির বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মাছ ও মাংসের বাজার আগের মতোই চড়া রয়েছে। বাজারে ভোক্তা অধিদফতর ও সরকারের নজরদারি আরো বাড়াতে হবে।

সম্পর্কিত বিষয়: