নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হুমকী ও নারায়ণগঞ্জ চারুকলা নিয়ে হেফাজত নেতার কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) বিকেল ৪টায় ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনা সরদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, একটা সময় আসবে যখন কিছু মাওলানার চরিত্র দাজ্জালের চাইতে খারাপ হবে। যারা ধর্মের নামে রাস্তা বন্ধ করে, যারা প্রতি জুম্মার নামাজে ধর্মের নামে উস্কানীমূলক কথা বলে, আমাদের মেয়র ও নেত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা রাজপথে নেমে এসেছেন সেজন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই, মাওলানা সাহেব মসজিদ করেছেন, মসজিদের ইমামতি করেন। আমাদের ইসলাম ধর্মের নিয়ম হচ্ছে ঐ জায়গাটা ওয়াকফ করা কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করতে হবে। সে জায়গা ওয়াকফ হয়েছে কিনা সেটা নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানতে চায়।
এড. দিপু আরও বলেন, বাগে জান্নাত মসজিদ নিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পতভাবে পিছন থেকে কেউ ইন্ধন দেয়, প্রেসক্রিপশন দেয়, দিয়ে পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দেয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পূর্বে আমাদের মেয়র সম্পর্কে মুসলিম ও হিন্দু সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কখনো মন্দির নিয়ে কথা বলে।
আবার যারা পা চাটা কুকুর তারা কখনো বাগে জান্নাত নিয়ে কথা বলে। কোন কাজ হয় নাই, বিএনপি, জামাত, হেফাজত সহ সকল অপশক্তি এক হয়ে হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে চলে গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খোঁচাবেন না। মেয়র আইভীতো অনেক উপরে যদি দলের কোন সাধারণ কর্মীর দিকে চোঁখ তুলে তাকান তাহলে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসবো।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, ১০ মিনিটের মধ্যে শাপলা চত্বর খালি করতে হবে। কান ধরে চলে গেছে। যারা ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনকে হত্যা করেছিলো তারাও মাওলানা ছিলো, হাফেজ ছিলো।
বিচার আল্লাহর দরবারে হবে। আমরা বলবো অবিলম্বে বিবৃতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে ক্ষমা চান, তারা ক্ষমা করলে আল্লাহ আপনাদের ক্ষমা করে দিবেন। নইলে শেষ বিচারের দিন আল্লাহর শাস্তি আপনাদের জন্য নির্ধারিত।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা খবির উদ্দিন, আব্দুল কাদীর, শামসুজ্জামান ভাষানী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, সাগর প্রধান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।