নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

শহরের মার্কেটে ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:১৪, ২২ মার্চ ২০২৪

শহরের মার্কেটে ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিপণন ও মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। পবিত্র মাহে রমজানের ১১তম দিন আজ। ঈদের ১৯ দিন বাকী থাকলেও বিভিন্ন মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। 

শুক্রবার ছুটির দিনে শহরের প্রতিটি মার্কেটে ও চাষাড়া হকার্স মার্কেটের সামনের ফুটপাতে হলি মার্কেটে ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখার মতো ছিল। সকাল থেকেই ক্রেতা ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, শহরের আলমাছ পয়েন্ট, বেইলি টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, প্যানোরমা প্লাজা, মার্ক টাওয়ার, টপটেন মার্ট, হক প্লাজা, সান্তনা মার্কেট, আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার, জিরো বাজার, লুৎফা টাওয়ার, ইজি ফ্যাশন, সায়াম প্লাজা, হাসনাত স্কয়ার, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজা, বর্ষণ সুপার মাকেট, এফ রহমান সুপার মার্কেট, ফ্রেন্ডস মার্কেটে, সোলস্তা, আড়ৎসহ ছোট- বড় মার্কেটে গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি পোশাক।

এসব মার্কেটগুলোতেও রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শোরুমেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

শহরের শায়েস্তা খান সড়কের ফ্রেন্ডস মার্কেটের পাঁচ শতাধিক দোকান মূলত দেশি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে শাড়ি, থ্রি-পিস, বিছানার চাদর, পর্দা ও সোফার কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। 

মধ্যবিত্তের কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকার মার্কেট গুলোতেও ক্রেতাসমাগম রয়েছে। দেশি-বিদেশি পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, অলংকার, শাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছুই এই মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ শহরের উচ্ছেদকৃত হকারদের সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার দু'দিন চাষাড়া থেকে মেট্রো হলের মোড় পর্যন্ত সলিমুল্লাহ সড়কের একপাশে বসার অনুমতি দিয়ে গড়ে উঠেছে হলিডে মার্কেট।

শুক্রবার সড়কের একপাশ ও ফুটপাতের জায়গাজুড়ে ব্যবসায়ীরা বসে বাহারি ধরনের নানা রংবেরংয়ের পোশাকের মস্ত বড় সব দোকান। 

শুধু কাপড়ই নয়, এখানে বিক্রি হয় জুতা ও প্রসাধনীও। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। বেলা যতই গড়ায় ততই ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে।

একদিকে ব্যবসায়িরা বিভিন্ন দামের অংক ধরে ছন্দে ছন্দে ডাকে ক্রেতাদের। আর সেই ছন্দের টানে ক্রেতাও বাড়তে থাকে।  প্রতিটা বাহারি ধরনের পোশাকের দামটাও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকে।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা চাকুরীজীবী অপূর্ব আহমেদ জানান, ঈদের জন্য পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনতে এসেছেন। চাকরি করেন তাই ছুটির দিনটি বেছে নিয়েছেন।

শহরের সমবায় মার্কেটে  ঘুরে দেখা যায়, নিজ ও প্রিয়জনের জন্য ঈদের কেনাকাটা করছেন অনেকে। ঈদের শেষ দিকে ভিড় বাড়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই বেছে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক।

বড়দের পাশাপাশি শিশু কিশোরের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছুটির দিনে বাবা মায়ের হাত ধরে শিশুরা এসেছে পছন্দের পাঞ্জাবি, জামা ও জুতা কিনতে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজায় দিনের বেলায় ক্রেতাদের সংখ্যা কম হলেও ইফতারের পরে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। আর আজ জুম্মার দিন সপ্তাহিক  হওয়ায় সকাল থেকেই ক্রও বেশি ভিড় ও বেচাকেনা বেড়ে যায়।

ফুটপাতের এক বিক্রেতা শাহিন বলেন,  রমজানের আগে থেকেই আমাদের ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে । সপ্তাহে দুদিন আমাদেরকে চাষাড়া থেকে মিশনপাড়া সড়কে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে এবার ভাবছিলাম বেচাকেনা কম হবে, এখন দেখছি ভালোই হচ্ছে। দিন যত যাবে ততই বেচাকেনা বাড়বে। আশা করছি, ঈদের পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করতে পারবো।
 

সম্পর্কিত বিষয়: