নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

কমেছে সবজির দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চড়া দামেই বিক্রি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:২৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কমেছে সবজির দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চড়া দামেই বিক্রি

পুরো শীতের ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম বসন্তে এসে সামান্য কমেছে। তবে বেড়ে চলেছে গরুর মাংসের দাম। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি বাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দেখা গেছে চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের শিম, মুলা, শালগম প্রতি কেজি ও এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহ থেকে প্রকারভেদে ১০-২০ টাকা কম। এর মধ্যে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের দামও প্রায় ২০ টাকা কমিয়ে ১০০ টাকার নিচে নেমেছে।

এছাড়া আলুর কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, টমেটো গাজার ও শসার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ও করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিগুবাবুর বাজারের সবজি বিক্রেতা রহমত উল্লাহ বলেন, বাজারে সরবরাহ ভালো, যে কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দীর্ঘদিন পরে সবজির দাম নিম্নমুখী।

এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পর তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে দিগুবাবুর বাজারের মাংস ব্যবসায়ী বলছেন, রোজা ও কোরবানি সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।

এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অপূর্ব আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকে দামের কারণে গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। মাঝখানে দাম কমানোয় ক্রেতা বেড়েছিল। এখন আবার দাম বাড়া শুরু করেছে। রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে।

এদিকে বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে শতক পেরিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একই সঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন দুই পদই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।

অন্যদিকে মুদি বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৫০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা এবং মসুর ডাল ১২০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
 

সম্পর্কিত বিষয়: