নারায়ণগঞ্জ শহরে অধিক পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ এবং রিসাইকেল করার লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় প্লাস্টিব বাজার চালু করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)। এ বাজারে পাঁচ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য সংগ্রাহকদের বিক্রির সুযোগ থাকবে। বিক্রেতারা এখানে বাজারমূল্যেই বিক্রি করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মন্ডলপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের গ্যারেজে স্থাপন করা হয় প্লাস্টিক বাজার। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। সিটি করপোরেশনের এক বছর মেয়াদি এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কর্ডএইড ও কোকাকোলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়।
প্লাস্টিক বাজারে মোট পাঁচ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি করতে পারবেন যেকোনো প্লাস্টিক সংগ্রহকারক। এগুলো হচ্ছে সাদা প্যাকেজিং, পলিথিনের শপিং ব্যাগ, গার্মেন্টস পলিথিন ও সফট পলিথিন, পেট বোতল, ভাঙা প্লাস্টিক ও সফট প্লাস্টিক। এর দাম রাখা হয়েছে বাজারদর অনুযায়ী। সর্বনিম্ন ৪ টাকা কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকা কেজি দরে প্লাস্টিক বর্জ্য কিনবে সিটি করপোরেশন।
উদ্বোধনী উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন ভাঙারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আয়োজকেরা। এ সময় তাঁদের ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানা এবং তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী। একই সঙ্গে রিসাইকেল ব্যবসায় যুক্ত হয়ে পরিবেশের উন্নয়নের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়।
নাসিকের সিও জাকির হোসেন বলেন, ভাঙারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের আওতায় এনে তাঁদের বড় পরিসরে কাজের সুযোগ দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি। তাঁরা সাধারণ ব্যবসার কথা চিন্তা করলেও এই ব্যবসায়ীরা পরিবেশের বড় উপকার করছেন নীরবে। তাই তাঁদের নির্ধারিত নীতিমালার মধ্যে এনে উপযুক্ত দাম ধরে বেঁধে দেওয়া হবে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের কর্মী (টোকাই) থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতা ও রিসাইকেল ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
সিটি করপোরেশনের নগর-পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকাল ভাঙারি ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্লাস্টিক বা পলিথিন সংগ্রহ করেন না। তাঁরা নির্ধারিত কিছু সংগ্রহ করেন। ফলে বড় একটি অংশ রিসাইকেলের বাইরে থেকে যায়। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম প্লাস্টিক বাজার। এখানে একজন টোকাই রাস্তা থেকে ময়লা আবর্জনাপূর্ণ পলিথিন এনেও বিক্রি করতে পারবে।
একই সঙ্গে ভাঙারি ব্যবসায়ীরা আমাদের মাধ্যমে রিসাইকেলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারবেন। মোটকথা, পরিচ্ছন্ন নগর এবং সবুজ শহর গড়তে প্লাস্টিক ও পলিথিনদূষণ কমাতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শওকত হাশেম শকু, কামরুল হাসান মুন্না, ইফতেখার আলম খোকন, কর্ডএইডের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।