নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার উচ্ছেদ, যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনায় উপস্থিত সকলেই ঐক্যমতের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জেলা শহরের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে ঐক্যমত পোষন করেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার নাগরিক সমস্যা সমাধানে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তারা বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানে কাজ করতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, ভালো কাজ আমরা সবাই মিলে করব। শহরকে হকার মুক্ত করতে আমি সর্বাতক সহযোগীতা করব। সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড ছুটি হলে গার্মেন্টস কর্মীদের ভিড়ে রাস্তায় যানজট বেড়ে স্থবির হয়ে পড়ে।
নিয়মিত ঘটা এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ফুটওভার ব্রিজ হলে সেই রাস্তার সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে। আর সমস্যা সমাধান করতে হলে সবাইকে কাজ করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়ককে হকার মুক্ত করতে ২০০৩ সাল থেকে বলে আসছি। আমরা ৬০০ হকারকে পুনর্বাসন করেছি। আমরা আমাদের কাজ সঠিকভাবে করলে কোনো প্রব্লেম থাকবে না।
অটোরিকশার অনুমোদন যেহেতু সরকার দেয় না, আমরা কীভাবে দেব? পুরো নারায়ণগঞ্জের মানুষ আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। শহরের প্রতিটি সড়ক হকারদের দখলে। আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে কাজের কথা বললে করে দেব। তবে ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব নিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে সমস্যার শেষ নেই। আজকে আমরা উঠে গেলাম আর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা নয়। আমাদের মধ্যে স্বজনপ্রীতি একটু বেশি।
চোখের পর্দা উল্টানো না গেলে আলোচনা করে লাভ হবে না। আমাদের কঠোর হতে হবে। মেয়র আইভী ও আমার ছোট ভাই শামীম ওসমানকে নিয়ে আমরা এটা করব।
বৈঠকে, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলাচল নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, আমি সাহস পাচ্ছি, আমাদের সংসদ সদস্যরা সবাই সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাচ্ছেন। আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি দেখলেই ডাম্পিংয়ে দিয়ে দেব।
রুট পারমিট ছাড়া কোনো গাড়ি নারায়ণগঞ্জে ঢুকবে না। আমি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কমিটি করে দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে কতটি গাড়িকে রুট পারমিট দেওয়া যায় এবং কতগুলো দেওয়া হয়েছে- এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত পাঁচ মাসে সাড়ে চারশো গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। শহরে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকতে দেব না।
আলোচনায় আরও অংশ নিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমির খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলসহ প্রমুখ।