নাসিকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেছেন, মেয়র বিহীন কাউন্সিলর জিরো। আমরা কাউন্সিলররা অনেক কিছু করতে চাইলো মেয়র বিহীন কিছু করতে পারি না । তেমনি লোকাল এমপি বিহীনও কাউন্সিলররা শূণ্য। কারণ এলাকার উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপির প্রয়োজন রয়েছে।
২৪ জানুয়ারী (বুধবার) সকাল ১১ টায় শহরের ডনচেম্বার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডে দ্বিতীয় দফায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।
বিত্তবানদের সহযোগীতায় এ শীত বস্ত্র বিতরণ করেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর শকু। শীত বস্ত্রের মাঝে ছিল, কম্বল, মহিলাদের সোয়েটার এবং পুরুষদের জ্যাকেট। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় প্রথম দফায় কাউন্সিলর পত্নী দিপা হাসেম শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
শীত বস্ত্র বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, ডনচেম্বার পঞ্চায়েত'র সভাপতি নজরুল ইসলাম নজর, চাষাঢ়া বাগে জান্নাত পঞ্চায়েত'র সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ বাবুল, খানপুরের মুরুব্বী সামাল সরদার, বৃহত্তর চাঁদমারি পঞ্চায়েত'র যুগ্ন- সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মন্টু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমত হাসেম, হানিফ সরদার, সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন আনু, বাগে জান্নাত পঞ্চায়েত'র ফারুক রিপন, শরীফ সুমন, মহিলা নেত্রী জহুরা বেগমসহ প্রমুখ।
কাউন্সিলর শওকত আরো বলেন, নাসিক ১২ নং ওয়ার্ডটি নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সেলিম ওসমানের নিজের ওয়ার্ড। আমি ভিন্ন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও উনি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো ভালবাসেন। উনি নির্বাচিত হওয়ার প্রথম আমার কাছে এলাকার সমস্যা জানতে চান।
তখন আমি তাকে বলি আমাদের ওয়ার্ডে সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে। চারটি সাবমারসিবল চেয়েছিলাম। তখন উনি আমার ওয়ার্ডের জন্য ৮ টি সাবমারসিবল দিয়েছিলেন। আমি তখন আরো কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরায় উনি সবাইকে নিয়ে মত বিনিময় সভা করলেন।
উনি ১২ নাম্বার ওয়ার্ডের উন্নয়নে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করেছেন। যার মধ্যে ডনচেম্বার মসজিদে ৪২ লাখ টাকা, বাগে জান্নাত মসজিদে ১৫ লাখ টাকা, সাবমারসিবল, এলইডি বাতি, ফ্রি ওয়াই ফাই জোন করে দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হওয়ার পর কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস করেনি। বাবার লাশও সন্তান ফেলে রেখে গিয়েছিল তখন এমপি সেলিম ওসমান এপ্রিল মাসে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যায় এসে আমাদের নিয়ে মিটিং করলেন। চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবসহ স্টাফদের থাকা খাওয়া সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছেন।
করোনাকালীন সময়ে এমপি সেলিম ওসমান ৩ কোটি টাকা নিজের অর্থায়নে খরচ করেছেন যা আমার হাত দিয়ে ব্যায় হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে উনার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে। দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছুদিন আগে বিনা কারণে আমি যে দল করি সেই দল থেকে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। নীতি নির্ধারক যারা এটা করেছেন আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।
এমপি সেলিম ওসমান দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করেন। উনি সবসময়ই বলেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে উনি কোন দলমত হিসাব করেন না।অনেকে তলে তলে উনার কাছে যায়। আমি সত্য কথা বলছি নাকি মিথ্যা বলছি এটা আপনারা অচিরেই প্রমাণ পাবেন। আমি আমাদের ওয়ার্ডে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মর্গ ও সাবমারসিবল স্থাপনের দাবি জানিয়েছি।
অনেকে বলে কাউন্সিলর শকু হলো সেলিম ওসমানের দালাল। কেউ এটা বললে আমি প্রাউড ফিল করি। কারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার এলাকাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে আমাকে দালাল বললেও আমি প্রাউড ফিল করি। কারণ মেয়র বিহীন কাউন্সিলর জিরো। তেমনি লোকাল এমপি বিহীনও কাউন্সিলররা শূণ্য। এলাকার উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপির প্রয়োজন রয়েছে।
চার বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্য আরো বলেন, আপনারা আমাকে চারবার এ ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আমি আপনাদের খাদেম হিসেবে যথাসম্ভব সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরমধ্যে আমার ভুলভ্রান্তি হতে পারে।
এতো বড় ওয়ার্ডে আমি হয়তো সকলের মন রক্ষা করতে পারিনি। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে আগামীতে শিশুদেরকে শীতবস্ত্র দিব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যারা আপনাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের জন্যও দোয়া করবেন।