প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ জনসভা করবেন নারায়ণগঞ্জে। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।
এ জনসভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠন গুলো। তবে এই জনসভার মুল নায়ক হলেন নারায়ণগঞ্জ - ৪ আসনের বর্তমান সরকার দলীয় এমপি একেএম শামীম ওসমান। শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের মধ্যে।
ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী শেষ জনসভাকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় মতবিনিময় সভা ও বৈঠক করছেন তিনি। শুধু তাই নয় জনসভা মঞ্চ থেকে শুরু করে সবকিছু তিনি নিজেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে করছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড ঢাকা- লিংক রোড থেকে শুরু সড়কের দু'পাশে পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বড় তোরণ, বিলবোর্ড ও ব্যানার ফেস্টুনে সু-সজ্জিত।
এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জে আগমন ও জনসভাকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে সাজসাজ রব ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার।
নারায়ণগঞ্জের মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখবেন এবং শুনবেন তার বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা নারায়ণগঞ্জ বাসীর কাছে দৃশ্যমান। আর নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য নতুন বার্তা দিবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা। কারন নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের জন্মস্থান। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যাশাও অনেকেই।
অপরদিকে, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসভার মঞ্চ ও মাঠ পরিদর্শন করেন।
মাঠ পরিদর্শন করে শামীম ওসমান এমপি সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জনসভার মঞ্চের কাজ শেষের পথে। রাতের মধ্যেই বাকী কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এরপর আমরা তা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কে বুঝিয়ে দিবো।
জনসভায় আড়াইলাখেরও বেশী জনসমাগমের প্রত্যাশা করেন তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এই মাঠ ভরে এই রাস্তা এদিকে ফতুল্লা পর্যন্ত ওদিকে উত্তর চাষাঢ়া পর্যন্ত আমি নিজেও জানিনা কতটুক ঠেকবে এই মিটিং।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনুসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।