নারায়ণগঞ্জে কিশোরগ্যাং লিডারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি সুইচ গিয়ার, ১ টি নাকোল ডাস্টার ও ১টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগ্যাং লিডার মোঃ আলতাফ হোসেন হৃদয় (২২), পিতা-মোঃ রহিম, নতুন জিমখানা (রশিদ ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া), মোঃ রিফাত মিয়া (২২), পিতা-মোঃ বিষু মিয়া, জল্লারপাড়, আসাদ নগর (মনির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া), মোঃ ফয়সাল (২১), পিতা-মোঃ মোকলেছ, নতুন জিমখানা, মোঃ সানি (২৪), পিতা- মোঃ নুরুজ্জামান, ১নং বাবুরাইল, জোড়াপোল (হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া) এবং মোঃ রবিন (২৫), পিতা-গাজী মারফাত, জল্লার পাড়, মসজিদ গলি (রনি মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে শহরের নিমতলা এলাকায় শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের মন্দিরের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
র্যাব-১১, সিপিসি-১;র ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আরও জানান, গোপন সংবাদে ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে অস্ত্রসস্ত্রের মহড়া ও দাপট প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা জনমনে ত্রাসের সৃষ্টির মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট হতে চাঁদাদাবী করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদা দাবীর উদ্দেশ্যে দলগতভাবে শক্তির মহড়া, দাপট প্রদর্শনসহ গুরুতর ধর্তব্য অপরাধ সংঘটন করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে জনমনে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে আসছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।