নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুলে ড্রেজার অধিদপ্তর থেকে নান্টু শিকদার (৪০) নামে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সে একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে ড্রেজার অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে সে চাকরির কথা বলে টাকা নিলেও ওই টাকা ধার হিসেবে নিয়েছে বলে অনেককে লিখিত দিয়েছে। এর মধ্যে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তাকে নানাভাবে হয়রানি থাকে, উল্টো ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করে।
সম্প্রতি রবিউল নামে এক ভুক্তভোগী টাকা চাইতে গেলে তার স্বাক্ষর নকল করে একটি সাদা কাগজ দেখিয়ে সাতাশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী রবিউলের বড় ভাই মাসুদ ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ প্রদান করে।
থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারক নান্টু শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় মনির (৪২) নামে অপর এক প্রতারক পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নান্টু শিকদার বরিশাল গৌরনদী এলাকার জাহাঙ্গীর শিকদার ছেলে।
জানাযায়, ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভুয়া স্ট্যাম্প করে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন চাকরির কোন সু বাতাস না পেয়ে তাদের দেয়া টাকা চাইতে গেলে প্রতারকরা উল্টো তাদের নামে ভুয়া স্ট্যাম্প দেখিয়ে টাকা পাবেনা বলে হুমকি দেয়।
প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এরকম একাধিক অভিযোগ সদর মডেল থানা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক ও কিল্লারপুল ড্রেজার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তুরজাউন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, তার কাছ থেকে প্রতারকরা চাকরি দেয়ার নামে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে আমি ড্রেজার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান জানান, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।