বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার দেশের সকল শিশুকে শতভাগ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন শিশু যেন টিকা থেকে বাদ না পড়ে। শিশুদের টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসার দায়িত্ব অভিভাবকদের। এজন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এ পর্যন্ত দেশের ৮৪ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালীন এই কর্মসূচি কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিলো। সঠিক সময়ে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের রোগমুক্ত রাখা যায়। সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় শিশুমুত্যু ও মাতৃমুত্যু হার হ্রাস পেয়েছে, টিকাদানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল গ্রহণের হারও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আফম মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট মৌসুম বাঈন হীরা, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক স্বপন কুমার শর্মা ও জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-৩ মো. আসলাম মিয়া।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শিল্পী আক্তারের সঞ্চালনায় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল ইপিআই স্পেশালিষ্ট (ইউনিসেফ বাংলাদেশ ) ডা. ফারহানা রহমান। বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের এসআইএমও মো. মোর্শেদুল ইসলাম।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে এডভোকেসী সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা -কর্মচারী ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।