নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে কাঁচামরিচ অতিরিক্ত দামে বিক্রির খবরে বাজার মনিটরিংয়ে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় ব্যবসয়ীদের ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় । এসময় কম দামে কাঁচামরিচ কিনতে ক্রেতারাও দোকানগুলোতে ব্যাপক ভীড় জমান।
সোমবার (৩ জুন) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ক্যাব প্রতিনিধি ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রেতারা জানান, কিছুক্ষণ আগেও ২৫০ টাকা দরে এরাই কাঁচামরিচ বিক্রি করছিলো। তবে পুলিশের অভিযানের খবরে শাস্তি থেকে বাঁচতে কম দামে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন তারা। গতকালকেও এক হাজার টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছিল। আজকে বাজারে এসে দেখলাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাচা মরিচ কেজি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিলো । এ সময় তাজুল ইসলাম নামে এক দোকানী ২৬০ কেজি কাচা মরিচ বিক্রি করছিল।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি কত টাকা কেজি দরে মরিচ কিনে কত টাকায় বিক্রি করছেনা? তিনি বলেন, পাইকারি ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এ সময় তার কাছে মরিচ কেনার রশিদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।
ফলে অতিরিক্ত দামে মরিচ বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তিনি ৬০ টাকা কমিয়ে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম দেখে পাশে দুই দোকানী ১০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করে। ভোক্তা অধিদপ্তরের টিমের উপস্থিতিতে প্রায় শতাধিক ক্রেতা ১০০ টাকা দরে কাচা মরিচ কিনে নেন।
অপরদিকে একই বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় একটি মুদি দোকানীকে ১ হাজার টাকা, একটা খাবার হোটেলকে ৩ হাজার টাকা ও বিএসটিআই এর অনুমোদন, পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ ও দাম লেখা না থাকায় বেশ কিছু ঘী জব্দ করা হয়।