নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় হাত ও পায়ের রগ কেটে নুর জাহান নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বুধবার বিকেলে নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। নিহত নূর জাহান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া আদর্শনগর এলাকার রমজান মোল্লার স্ত্রী।
স্বজনরা ও এলাকাবাসি জানান, গাড়িচালক স্বামী ও চাকুরিজীবী ছেলে সকালে কর্মস্থলে চলে গেলে ঘরে একাই ছিলেন নুর জাহান। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী পুত্রবধূ ছিলেন পরীক্ষার হলে। দুপুরে প্রতিবেশীরা নূর জাহানের রক্তাক্ত দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়।
পরে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহসহ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটে আসেন নিহত নূর জহানের স্বামী ও ছেলেসহ নিকট আত্মীয়-স্বজনরা।
নিহতের স্বামী রমজান মোল্লা বলেন, সকালে পেশাগত কাজে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপু চলে যান। ছেলেও তার কর্মস্থলে চলে যায়। দুপুরে পাশের বাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় তার স্ত্রী নূর জাহানের রক্তাক্ত লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীকে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার সাথে বা আমার ও আমার স্ত্রীর সাথে কারো কোন শত্রুতা নাই। প্রশাসনের কাছে দাবি জানান কারা তাকে হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করুক। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
পরিবারের দাবি, শান্ত স্বভাবের নারী নূর জাহান সব সময় ঝগড়া বিবাদ এড়িয়ে চলতেন। কারো সাথে তার কোন ধরণের শত্রুতা ছিল না। এই নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে ন্যায়বিচার দাবি করেন এলাকাবাসি ও স্বজনরা। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, কারা কি কারণে এই নারীকে হত্যা করেছে আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের দাবি ওই নারীর হাতে, গলায় স্বর্ণালংকার ছিল। সেগুলো নিয়ে গেছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।