সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে সরবকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম নিরাপদে পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা গ্রহণ কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও জেলার ৯ শতাংশ শিক্ষক এখনো টিকা গ্রহন করেননি। তিনটি কারণে শিক্ষকদের টিকা গ্রহণ শেষ হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সূত্রমতে, অধিকাংশ শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও তাদের টিকার গ্রহণের তারিখ আসেনি। এছাড়া গর্ভবতী মায়েরা ও অসুস্থ বয়স্ক শিক্ষকগণ টিকা গ্রহণ করেনি।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মীদের ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়া শেষ করার পর করোনা আপডেট সফটওয়্যারে এন্ট্রি নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা টিকা নিচ্ছেন তা তাদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে হবে।
যারা গ্রহন করতে পারেনি, কী কারণে কারা টিকা নিতে পারছেন না- তাও জানাতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পূর্বে এবং পরবর্তী বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত নিদের্শনা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল এ বিষয়ে বলেন, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৯ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীদের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী ৯১ শতাংশ শিক্ষখের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিন কারণে ৯ শতাংশ শিক্ষকের টিকা গ্রহণ করা হয়নি। এই হারের একটি বড় অংশে রয়েছে যারা টিকার জন্য আবেদন করলেও তাদের টিকার গ্রহণের তারিখ আসেনি। এছাড়া গর্ভবতী মায়েরা ও অসুস্থ বয়স্ক শিক্ষকগণ টিকা গ্রহণ করেনি।
তিনি আরো বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ার পর একাধিকবার স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরী হয়েছিল। আমরা প্রতিবারই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। স্কুল শ্রেনী পাঠদান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বিকল্প পন্থায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম নিয়মিত চলছে।