সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি আদমজী নগর মার্চেন্ট ওয়ার্কার (এম.ডব্লিউ) কলেজের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বান্ধব অধ্যক্ষ প্রফেসর নূর আক্তারের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আদমজীনগর এম ডব্লিউ কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ মানববন্ধনে অংশ নেন অত্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রফেসর নূর আক্তারের বদলি আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা ক্লাস বর্জনসহ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে।
আন্দোলনরত অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষ নূর আক্তার এই কলেজে যোগদানের পর কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সহ সকল কর্মকান্ডে নতুন গতি ফিরিয়ে এনেছেন। কাজেই তারা এই অধ্যক্ষকে আপাতত অন্যত্র যেতে দেবে না।
লেখাপড়ার ও কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে অধ্যক্ষ নূর আক্তারের বদলির আদেশ প্রত্যাহার পূর্বক তার বিরুদ্ধে সমন্বয়ক পরিচয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত বিতর্কিত শিক্ষার্থী হিমেল ও তার সহযোগীদের আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সমন্বয়ক পরিচয় দেয়া সন্ত্রাসী হিমেলের নেতৃত্বে বাসযোগে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর অতর্কিত হামলায় ২০ জন আহতের ঘটনায় হিমেল সহ দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
একই সাথে তারা বক্তব্যে বলেন, প্রফেসর নূর আক্তারের সফল নেতৃত্বের কারণে সরকারি এম ডব্লিউ কলেজ উপজেলার মধ্যে লেখাপড়ায় অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করছে।
অত্র কলেজ থেকে লেখাপড়া করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারী উচ্চপদস্থ চাকুরীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের সুযোগ পেয়েছেন।
অবিলম্বে অধ্যক্ষ নূর আক্তারের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহালের দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা । এ অদেশ প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বদলির আদেশের বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর নূর আক্তার বলেন, "সরকারি চাকরিতে আমাদের বদলির আদেশ এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আমি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সুনামের সহিত এ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই কলেজ ও শিক্ষার্থীদের আমি অত্যন্ত ভালোবাসি।
যদি বাইরে থেকে কোন আঘাত আসে এবং আমার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যদি সেটা প্রতিহত হয় আমার দেখতে এটা ভালো লাগবে না।এজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি সরে গিয়ে ক্যাম্পাসটার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় থাকে।
সেজন্য আমি গত রবিবার মাউশির মহাপরিচালক ও সচিব স্যারের সাথে দেখা করে আমার অন্যত্র বদলির বিষয়ে আবেদন করি। সে আবেদনের কারণে আমাকে বুধবার বদলি করা হয়েছে। আমি সকল শিক্ষার্থীকে সরকারের আদেশ মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।