গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও এম.এ.হাসেম ইয়াতুননেছা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, অন্যসব ৮-১০ টা স্কুলের মতো এই স্কুল না। এই স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের জন্য শিক্ষা। যার মাধ্যমে একজন ছাত্র-ছাত্রী দুনিয়াবি শিক্ষার পাশাপাশি পরকালের শিক্ষাও পেয়ে থাকে।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন ও র্যাংক ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন এই স্কুলে ধর্মীয় ও নৈতিকার শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া এই স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমের মাধ্যমে যেনো নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তোমরা পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে পারো সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তোমাদের আচার আচরণ এমন হতে হবে যেনো অন্যসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা তোমাদের থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে। তোমাদের শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না ভালো মানুষ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এখন হজের মোসুম চলছে। সেজন্য তোমাদের সব আমল ঠিকভাবে পালন করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে মিনিমাম একটি রোজা রাখার। যারা অন্য ধর্মের ধর্মালম্বী তারা নিজ নিজ ধর্ম ঠিকমতো পালন করবে।
তোমাদের সবাইকে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিছুদিন পর ঈদ- উল আযহা। আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, শিশির ঘোষ অমর ও দৈনিক অগ্রবানী প্রত্রিকার সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী স্বপন, রাজিব আহাম্মেদসহ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষীকারা।
এর আগে গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের আয়োজনে এম,এ,হাসেম ইয়াতুননেছা ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ইসলামিক আলোচনা সভায় হজ¦, উমরা, কুরবানী ও আকিকার বিষয়ে বক্তব্য রাখে গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এম,এ,হাসেম ইয়াতুননেছা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
এতে সভাপতিত্ব করেন গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেন।