রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে নারায়ণগঞ্জের দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- শান্ত হোসেন (২৩) ও রিয়া খাতুন (২১)। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
শান্ত বেইলি বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করতেন। তার বাবা ফতুল্লার ভূঁইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মো. আমজাদ হোসেন। তারা দুই ভাই এক বোন।
বাবা বিদেশে তেমন সুবিধে করতে না পারায় পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে শান্তই সংসারের খরচ বহন করতেন। এদিকে শান্তর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। মায়ের আহাজারিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছেন সবাই।
অপরদিকে রিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার মালিক শিল্পপতি কুরবান আলীর বড় মেয়ে। রিয়া পড়াশোনা করতেন মালয়েশিয়ায়। শনিবার (২ মার্চ) ফিরে যাওয়ার কথা ছিল সেখানে। কিন্তু মালয়েশিয়া ফেরা হলো না তার। আগুনে পুড়ে মারা গেলেন। মেয়েকে হারিয়ে একেবারে নিস্তব্ধ কুরবান আলী।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।