নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না।
অবিলম্বে যেসকল অস্ত্র দিয়ে নারায়ণগঞ্জের নিরীহ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেইসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং সেইসব সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
রবিবার ( ২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগ ঘোষিত ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্যেকালে তিনি একথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৭টি বছর আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা আমাদের অনেক ভাই বন্ধু কে হারিয়েছি। তাদের এই রক্তের বিনিময়ে কিন্তু আজকে এই ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বলতে চাই এদেশে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে রাজপথে কোন কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
সজল যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা নতুন করে দেশকে অস্থিশীল করার চেষ্টা করছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। যারা নতুন করে নৈরাজ্য করার পাঁয়তারা করবে তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে দিয়ে দিবেন। কারণ তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শতশত হত্যা মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই হত্যাকারীদের নারায়ণগঞ্জে কোন কর্মসূচি করার সুযোগ যুবদল দিবে না। যদি কোন প্রকার নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবেন। যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং রাজপথেই থাকবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন,জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সালসহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।