নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদলের কোনো কমিটি নেই। আর কাজী সোহাগ ও হুমায়ূন কবির যারা যুবদলের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজি করছে। তারা যুবদলের সুনামকে ক্ষুন্ন করছেন । তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আর কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অপকর্মনের দায় দায়িত্ব মহানগর যুবদল নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে কাজী সোহাগ ও হুমায়ূন কবির বন্দর খেয়াঘাটের সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। যা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের অনেক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যুবদল নেতা বলে তাদেরকে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
আর এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা যদি কেউ দলের বিক্রি করে কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করবে তাদেরকে ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।
আর কোন ব্যক্তি দায়ভার দল বহন করবে না। ঠিক একইভাবে বলতে চাই কাজী সোহাগ ও হুমায়ুন কবির বন্দর থানা কিংবা ওয়ার্ড যুবদলের কেউ না। আর বন্দর থানা ও ওয়ার্ডের যুবদলের কোন কমিটিও নেই। কিন্তু কাজী সোহাগ ও হুমায়ুন কবির যুবদলের নাম বিক্রি করে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আছে।
আমরা বলতে চাই যুবদলের কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অপকর্মের দায়ভার নিবে না। যারা যুবদলের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
দলীয় সূত্র জানায় -কেন্দ্রীয় যুবদলের তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশক্রমে বিগত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদলসহ সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা যুবদল ও ওয়ার্ড যুবদলের বিভিন্ন পদপদবী ব্যবহার করে নিজেদেরকে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জাহির করছে অনেকেই এমনটিই তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য সূত্র আরও জানাগেছে, সম্প্রীতি গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বন্দর থানার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, খেয়াঘাট দখল বানিজ্য করতে বন্দর হুমায়ুন কবির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কাজী সোহাগ ২২নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে নিজেদেরকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে বন্দর থানা যুবদলের কোন কমিটি নেই। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিল তাদেরকে নিয়ে শীগ্রই বন্দর থানা যুবদলের কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা বন্দর খেয়াঘাটের সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিতে কাজী সোহাগের প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে আর দেখা যায়, কাজী সোহাগ সাদা গেঞ্জি পরে প্রকাশ্যে রাস্তায় দৌড়ে দৌড়ে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করছেন। অপর দিকে অস্ত্রধারী কাজী সোহাগকে ধাওয়া করছে হুমায়ন গ্রুপ।