নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০৯ জানুয়ারি ২০২৫

শেখ মুজিব দুঃখ করে বলেছিল আমার কম্বলটি কোথায় : সাখাওয়াত 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:৫৬, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

শেখ মুজিব দুঃখ করে বলেছিল আমার কম্বলটি কোথায় : সাখাওয়াত 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আপনারা দেখেছেন নারায়ণগঞ্জে একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ছিল। নারায়ণগঞ্জে সাত খুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটেছিল।

নারায়ণগঞ্জে বিচার ব্যবস্থা বলতে কোন ব্যবস্থাই ছিল না। নারায়ণগঞ্জে একটি পরিবারের কথায় উঠতো আর বসতো। শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমান এই নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত করেছিল। 

মঙ্গলবার ( ৮ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের নন্দীপাড়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই ৩১দফা আমরা মনে করি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা দেখেছেন গত ১৬টি বছর বাংলাদেশ অবস্থা কি ছিল।

আজকে আমরা এখানে কম্বল বিতরণ করছি। কিন্তু যে দলটি ক্ষমতায় ছিল ৭৪ সালের রাশিয়া থেকে কম্বল এসেছিল। সেদিন কিন্তু সেই কম্বল বাংলাদেশের মানুষ পাইনি। সেদিন শেখ মুজিব দুঃখ করে বলেছিল আমার কম্বলটি কোথায়। আর গত ১৫টি বছর চাটার দল এই দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটেপুটে এদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। 

তিনি আরও বলেন, গত ১৫টির বছর এদেশের মানুষ কোন ভোট দিতে পারেনি। এ সরকার এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়েছিল তখন এদেশে চালের দাম ছিল ২৫ থেকে ২৫টাকা কেজি। আর আজকে আমরা কত টাকা কেজি ধরে চাল কিনে খাচ্ছি তা আপনারা সবাই জানেন।

আওয়ামী লীগ ১৯৭৪ সালে যেমন ভাবে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল এদেশের মানুষকে। ঠিক একই ভাবে গত পনেরো বছরে মানুষ চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে ৮০ টাকা ধরে চাল কিনে খেতে হয়েছে। গত পাঁচই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী এমপি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

বিশ্বের ইতিহাসে এটি প্রথম নজির যে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা বলেছিল তারা নাকি জনগনের জন্য রাজনীতি করে তাহলে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কেন। অথচ তারা জনগণকে নির্যাতিত করে দেশে দুর্নীতি করেছে বলে তারা ভয়ে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। 

মহানগর ১৪নং ওয়ার্ড  বিএনপির সভাপতি হাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি  নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল মোলল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক রিপন হাসান, কোষাধ্যক্ষ জোবায়ের আহমেদ, সদস্য তরিকুল ইসলাম হামীম, মোদ্দাসের হোসেন তানজিলসহ বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।