নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫টি বছর শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ চলেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কথায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ভারতের কথায় চলার জন্য নয় আর ভারতের কথা বাংলাদেশ চলবেনা।
ভারত শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ চায় তাদের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার। সর্বক্ষেত্রে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলেই দেশের মানুষের শান্তিতে থাকতে পারবে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৫নং ওয়ার্ড ও ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আজকে সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনগণ সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। আজকে ভারত চায় বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল করতে। বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে সুবিধা দিতে। কিন্তু আমরা সেটা হতে দিতে চাই না। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে বসবাস করতে চাই।
আমরা সবাই একসাথে বসবাস করতে চাই আমাদের মধ্যে কোন ধর্মীয় উন্মাদনা ঘটুক সেটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চায় না। আর সেটা আমরাও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাও চাই না। আওয়ামী লীগ চাই এদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি হোক। তারা এগুলো সৃষ্টি করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী আওয়ামী লীগের সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রশ্নে এবং শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ বিরুদ্ধে শান্তির শৃঙ্খলার স্বার্থে নারায়ণগঞ্জবাসীকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল।
বিএনপিতে চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম বল চাঁদা দাবি করে তাহলে তাকে ধরে বেঁধে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবেন। আমরা চাই হত্যা, গুম, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, সরকার আলম, শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, কাজী নাঈম, আল আরিফ, মহানগর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মাসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটন, মহানগর ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন প্রধান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমানসহ অনেকেই।