নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৭টি বছর বাংলাদেশে একটি দুঃশাসন হয়েছিল। সেই দুঃশাসনের মূল হোতা ছিলেন শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল।
এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের অধিকার ,আইনের বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে শুরু করে সকল সকল স্তরে এই বাংলাদেশকে একটি বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের টাকা লুটপাট করে এ দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছিল এই শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড ও ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে এদেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা এদেশের মানুষের উপর জবরদস্তি করে স্টিমরোলার চালিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন হয়েছে ৫ খুন হয়েছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের মাধ্যমে। বিগত সতেরোটি বছরে দেশের মানুষের সত্য কথাটি বলতে পারেনি।
মানুষের মৌলিক অধিকার ও এই সরকারের পতনের জন্য কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আর গতে পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সেই আন্দোলনে কিন্তু বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।
অন্তবর্তী কালীন সরকারকে স্বল্প সময়ের মাধ্যম সংস্কার করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। আপনারা যে সংস্কার কথা বলছেন সে সংস্কারের উদ্যোগ আরো এক বছর আগেই আমাদের দল হাতে নিয়েছিল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সকল দলের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে পরামর্শ করে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের রুপরেখা তৈরি করেছিল। আমরা আপনাদের কাছে এই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের বইগুলো দিয়েছি এগুলো আপনারা নিজেরা পড়বেন এবং আপনাদের প্রতিবেশীদের বলবেন।
এই ৩১ দফার মাধ্যমে বিএনপি আগামীতে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তার সকল কিছুই দেওয়া আছে। তারপরও এগুলা নিয়ে আপনারা আপনাদের বুদ্ধি পরামর্শ দিবেন। রাষ্ট্র কাঠামোর বিষয় যদি আপনাদের কোন পরামর্শ থাকে তাহলে আপনারা ওই বিষয়গুলোকে নিয়ে আমাদের বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরকে জানাবে তারা আমাদেরকে জানাবে আমরা তা কমান্ডের কাছে পৌঁছিয়ে দিব।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈম, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি শাহজালাল সরদার সাধারণ সম্পাদক আল আরিফসহ বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ।