নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, গত ৫ আগস্ট বহু রক্তের বিনিময়ে কিন্তু ফ্যাসিস শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পরবর্তীতে একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য।
কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এই সরকারের কতিপয় কিছু লোক তারা চিৎকার করে খালি বলছে সংস্কার সংস্কার সংস্কার। সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন দিবে না। আপনাদের এই সংস্কার আরও এক বছর আগেই আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড ও ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আজকের যে সংস্কার সংস্কার আপনারা করছেন এই সংস্কার বিএনপি প্রথম শুরু করেছে । ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব তখন বাকশাল কায়েম করে এদেশে একতন্ত্র চালু করেছিলেন । আর ১৯৭৫ সালে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সংস্কার করে বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় রাজনীতি চালু করেছিল।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পর ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংস্কার করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর তৃতীয় দফায় বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ই জুলাই নতুন করে দেশ সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে পাঠিয়েছে আপনাদের কাছে। এই বইটির মধ্যে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ কি কি দেশের সংস্কার করবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান,নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈম, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি শাহজালাল সরদার সাধারণ সম্পাদক আল আরিফসহ বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ।