বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, কোন প্রকার চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করা যাবে না। আমরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন খুবই সুশৃঙ্খল। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল।
ঠিক জননেতা তারেক রহমান কিন্তু নারায়ণগঞ্জের কার্যকালাপে অন্তত খুশি। সেই জায়গাটা কিন্তু আপনাদের সার্বিক ভাবে ধরে রাখতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যেটা করলে বিএনপির দুর্নাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বিব্রত হবেন এমন কিছু করা যাবে না।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জন-সম্পৃক্তিকরণে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। মঙ্গলবার ( ১৭ ডিসেম্বর ) সিদ্ধিরগঞ্জ হিরাঝিলস্থ গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বিজয়ের মাসে আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আজকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে।
তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছিলেন। আমরা ২০০৭ থেকে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের সরকার ও স্বৈরাচারী হাসিনার দীর্ঘ সতেরোটি বছর আপনাদের আমাদের গনতন্ত্র কি কেড়ে নিয়েছিল ও হরণ করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যেকোন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা হয়েছিল তাকে কিন্তু তারা অগণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে পরিণত করেছিল।
আজকে আমরা ১৭বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এই ১৭বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একটি অভিনব নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন এই অভিনব স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হলেন জননেতা তারেক রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমরা জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বিএনপি ও প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন তথা এদেশের সাধারণ জনগণ সকলে মিলে ১৭ বছরআন্দোলন সংগ্রাম করে রেজাল্টা ঘরে তুলতে পেরেছি। তাহলে এই আন্দোলনের রূপকারকে তারেক রহমান।
আজকে অনেকে এটা নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে প্রতিবাদ করতে হবে।