নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার আমাদেরকে বাগবুদ্ধ রেখেছিল। তারা দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করেছিল।
খুনি শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাসকে মুছে ফেলতেও চেয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামও তারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে আতিবাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে এদেশের জনগণ জিয়াউর রহমানকে এদেশের জনগণ শাসন বারের ক্ষমতা দিয়েছিল। সেই ইতিহাসকে কখনো বদলানো যাবে না।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে বিশাল র্যালি পূর্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
সোমবার ( ১১ নভেম্বর ) বিকেল চারটার দিকে বন্দর সোনাকান্দা থেকে শুরু করে বন্দরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম কিন্তু এদেশের সঠিক ইতিহাস জানেনা। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে । এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকে দিয়েছিল তাও জানতে হবে। তাই আমি নতুন প্রজন্মকে বলবো আপনারা বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানুন এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের রাষ্ট্রভার গ্রহণ করেছিল। সে রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করে। আর উনিশ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সম্মিতিশীল রাষ্ট্র উপহার দিতে চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি কথা বলতে চাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে বাংলাদেশে বীরের বেশে ফিরে আসবে। এরপর আমরা বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এদেশের ২০ কোটি মানুষের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
আপনারা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ তার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। পাশাপাশি বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, নাসির উল্লাহ টিপু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, সোহেল খান বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন পাঠান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বেপারী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী জাবেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসলাম নারু, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, যুবদল নেতা নুরে এলাহী সোহাগ, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, পারভেজ খান, কামরুল হাসান রনি, মিনহাজ মিঠুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।