নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৪

জাকির খান মুক্তি পরিষদের সমাবেশে তৈমূরের গ্রেপ্তার দাবি 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:২৯, ২০ অক্টোবর ২০২৪

জাকির খান মুক্তি পরিষদের সমাবেশে তৈমূরের গ্রেপ্তার দাবি 

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জাকির খান মুক্তি পরিষদ।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে শহরে মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। জাকির খানের মুক্তি দাবিতে শহরের ২নং রেলগেটস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে তৈমূর আলমের তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, তৈমূর আলম আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি রাতের আধারে শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার পেছনে তৈমূররাও সমানভাবে দায়ী।

তারা আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মকে সার্পোট দিয়ে গেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চুপ থেকে এই তৈমূররা এসমস্ত খুনকেও এক প্রকার নিরবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। কারণ, তারা চেয়েছিলো ছাত্র-জনতার হাজার হাজার লাশের বিনিময়ে হলেও টিকে থাকতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

বক্তারা বলেন, আজ কোথায় তৈমূর? ৫ আগস্টের পরে কেন আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা জেনেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর ওই কুখ্যাত ওসমানরা যখন নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলো, ওই ঘটনায় নাকি আপনিও জড়িত ছিলেন। আপনার বাড়ী থেকে ওই ওসমানদের অস্ত্র সরবহরাহ করা হয়েছে। 

আপনি পর্দার অন্তরালে থেকে ওই ওসমানদের ছাত্র-জনতাদের ওপর গুলি চালাতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। ওসমানরা পালিয়েছে। আপনিও আত্মগোপনে রয়েছেন। কিন্তু কতদিন আর আত্মগোপনে থাকবেন। আপনার বিচার হবেই।

কিছুদিন আগে আপনার দলের (তৃণমূল বিএনপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের আরেক দোসর শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপনিও গ্রেফতার হবেন। কোন ছাড় পাবেন না। আমরা এ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে তৈমূরের গ্রেফতার দাবি করছি।

এর আগে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) আদালতে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারকের বদলীজনিত কারণে কোর্ট না বসায় এদিন কোন শুনানি হয়নি। তবে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উপস্থিত ছিলেন, মামলার ১৭ নাম্বার সাক্ষী সাগর। কিন্তু কোর্ট না বসায় তার সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়নি।

এদিকে জাকির খানের মুক্তি দাবিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করে জাকির খান মুক্তি পরিষদ। মিছিলে সহস্রাধীক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের ২নং রেলগেটস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’র আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, এই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচএম হোসেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা আমিনুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: জাকির আহমেদ, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সালেহ আহমেদ রনি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মো শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আল আমিন হৃদয়, সহ সভাপতি আজিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, শাহাদাত হোসেন সানু, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকন, মো: সুমন, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী সোহেল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল বেপারী, সহ সভাপতি সোহাগ রাজ, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো রুবেল, শুক্কুর আলী বেপারী, মো: কালাম, মো: কাইয়ূম ও আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দরা সহস্রাধীক নেতাকর্মী।