বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বরাবর হিন্দু সম্প্রদায়কেকে ট্রামকার্ড হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু সম্প্রদায় যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেই ঘটনা আওয়ামী লীগের আমলী ঘটেছে অন্য কোন সময় কিন্তু তা ঘটেনি।
আপনারা যদি নাটোরের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে সেখানে কি ঘটেছিল। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে আর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কি পরিমান অত্যাচার হয়েছিল তা আপনারা দেখেছেন এবং এর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন । কিন্তু আপনারা এর কোন বিচার পাননি। কিন্তু কথায় কথায় আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদেরকে কিন্তু তারা ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য কালে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে শহরের গলাচিপাস্থ শ্রী শ্রী রামকানাই জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আজাদ বলেন, আমরা সব সময় আপনাদের পাশে সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবো আমরা ভাই ভাই। আমাদের বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নাই। হিন্দু মুসলিম আমরা সবাই ভাই ভাই।
আওয়ামী লীগ কিন্তু চলে গেছে কিন্তু তা দোসরা কিন্তু এখনো রয়ে গেছে। তারা কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা অসন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই যে আপনারা দেখছেন বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তুষ্ট হচ্ছে।
এগুলো কারা করছে এগুলো কিন্তু আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা ঘটাচ্ছে। স্বৈরাচারীর দোসরারা দেশে একটি নতুন করে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য এগুলো করছে। আওয়ামীলীগ চলে গেল কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা ও অপচেষ্টা করার পায়তারা করছে।
হিন্দু ভাইদের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা সজাগ থাকবেন যাতে করে আপনাদেরকে কেউ ব্যবহার করে নতুন করে কোন প্রকার অরাজগতা সৃষ্টি করতে না পারে। সেই দিকে আপনারা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
তিনি বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা আমরা আপনাদেরকে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে পাহারা দিব। আপনাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। শুধু নারায়ণগঞ্জ না ঢাকা বিভাগের সকল জেলাতে আমরা এই বিষয়ে সভা করছি।
আর আমরা সব জায়গাতেই বিএনপি যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য দলের সমন্বয়ে আমরা কমিটি করে দিচ্ছি। পুরো পুজোর সময়টাই তারা আপনাদের পাশে থাকবে এবং আপনাদেরকে সার্বক্ষণিক পাহারা দিবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে আপনাদের শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে এতটা জল্পনা কল্পনাও সমস্যা হতে পারে এগুলো নিয়ে কিন্তু এত চিন্তা ভাবনা ছিল না। বিএনপি এমন একটি দল যে দল সামাজিকতার প্র্যাকটিস করে।
বিএনপি দল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায় দেশনায়ক তারেক রহমানের দল। এই দল ভদ্রতার প্র্যাকটিস করে। বিএনপির কোনো অরাজকতা তৈরি করা দল না।
তার জন্যই কিন্তু আপনারা বিগত সময় খুব শান্তিপূর্ণভাবে এই পূজা উৎসব পালন করতে পেরেছিলেন। আর বিএনপি কিন্তু সব সময় আপনাদের পাশে ভাই বন্ধু হিসাবে ছিল। আওয়ামী লীগ কিন্তু শয়তানি করার অপচেষ্টা থাকবে। আমরা তো সজাগ থাকবো আপনাদের কো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
আমরা সম্মিলিতভাবে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে এই শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে তার জন্য বিএনপি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব আমি দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সে অঙ্গীকার আমাদের বিএনপির পক্ষ থেকে করছি।
আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজায় সহযোগিতা করছে। আমরা দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটিকে ১০ লক্ষ টাকা দিব। এটা সামান্য মাত্র দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের উপহার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটো, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি শংকর সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পালসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির ও মন্ডপ প্রতিনিধিবৃন্দ।