নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যা করতে না পেরে টিপুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন ওসমান পরিবারের দালাল বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও পদত্যাগকারী আবুল কাউসার আশা এমনটাই দাবি মহানগর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, খুনি হাসিনার শাসনামলে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের দোসর ছিলেন বন্দরের আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশা। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় বন্দরবাসীর উপর শোষণ আর নির্যাতন চালিয়েছেন তারা।
এখনো সেই স্বৈরাচারী ওসমান পরিবারের সাথে তাদের সখ্যতা রয়ে গেছে। ওসমান পরিবারের নির্দেশেই বন্দরের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন মুকুল ও আশা। আর সেইদিন হত্যার উদ্দেশ্যেই মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ আরও জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুবিধাদি ওসমান পরিবারের দালাল বহিষ্কৃত আতাউর রহমান মুকুল ও পদত্যাগকারী আবুল কাউসার আশার যোগশাজসে একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের লোক দিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অসুস্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তারা বন্দর থানায় গিয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করতে চেয়েছিল কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর আদালতে মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি'র সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এতেই প্রমাণ হয় যে ৬ সেপ্টেম্বর আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যা চেষ্টার মামলাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই আরেকটি মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।
কিন্তু আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ওসমান পরিবারের দালালদের বলে দিতে চাই গত পনের বছর দালালি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছিলেন। এখন আবার বিএনপির নাম বিক্রি করে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও লুটপাট করছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
আপনাদের অপকর্মের সবকিছু কিন্তু বন্দরবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানে সুতরাং ভালো হয়ে যান। তা নাহলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আপনাদের ছাড় দিবে না। এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
জানাগেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটায় বন্দর উপজেলার তিনগাঁও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ এলাকায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও পদত্যাগকারী আবুল কাউসার আশার নেতেৃত্ব দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় টিপুসহ ১০জনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়।
এরপর গত (১৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেনের আদালতে বন্দরে হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
নূর হোসেনের চাচাতো ভাই শাহাদাৎ হোসেন শেখ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বন্দরের তিনগাঁও এলাকায় পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেন।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলায় উল্লেখ কার টিপু ছাড়া অপর আসামিরা হলেন বন্দর বিএনপি নেতা শাহেন শাহ, আসাদুজ্জামান বাদল, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সম্রাট হোসেন সুজন, রাজু আহমেদ, শাহিন, ইকবাল হোসেন, মো জাহিদ খন্দকার, যুবদল নেতা সাগর প্রধান, সুজন, মো. রহমত।
অপরদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বিএনপির কর্মী সৌরভ, রাজিব, মোস্তাক আহমেদ, পাভেল সরকার, জাকির হোসেন, রাসেল আহম্মেদ, ওয়াসিম ওরফে বোমারু ওয়াসিম, আবদুল জলিল, রুবেল, কামলেটঁ, শাহ আলমসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৫৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় দেড়শ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বন্দর থানার মামলা নং ১৪(৯)২৪।