আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, ১৫ আগষ্টকে ঘিরে অরাজকতার চেষ্টা করলে বাড়িঘরে থাকতে পারবেন। আমরা বলতে চাই এই জুলুমবাজ আওয়ামী লীগ সরকারের কোন নেতাকর্মীরে কিন্তু আমরা বাড়িঘর থেকে বের করে দেই নাই। তারা কিন্তু বাড়ি ঘরেই আছে।
আপনাদেরকে হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই আমরা কিন্তু সাড়ে ১৬ বছর বাড়িতে ঘুমাইতে পারি নাই। কিন্তু আপনারা কিন্তু ঘুমাচ্ছেন। যদি ১৫ই আগষ্টকে কেন্দ্র করে কোন রকমের অরাজকতা করলে আপনাদেরকে কিন্তু বাড়ি ঘরে থাকতে দিমু না।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে শহরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যেকালে তিনি একথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, সকল সহযোদ্ধা ভাইদেরকে বলতে চাই রাত থেকে আপনারা লাঠি নিয়ে পাহারা দিবেন। কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে করে রাজপথে না আসতে পারে। আমাদের শহীদের রক্ত কিন্তু এখনো মুছে যায়নি।
এই হত্যার বিচার খুনি ও তাদের দোষদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে । তারা যাতে করে কোনভাবেই ছাড় না পায়। এখনই হাসিনার পাশে না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা কর্মীরা রাজপথে থাকবে তারা রাজপথ ছেড়ে যাবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকবেন ।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতা যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। এই পতনের পর আমি সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করছি সেই বীর শহীদদের জন্য। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকে আবার নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের রক্তের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবোনা। সেই শহীদ সহযোদ্ধার পরিবারের পাশে আমরা থাকবো।
তিনি আরও বলেন, আজকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব একটা কথা বলেছেন যে আপনারা মহানগর বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন । আপনারা দেখবেন এই ১৬ বছরে কাদের কয়দিন সার্ভিস আছে এই দলের পিছনে। আমরা কিন্তু সাড়ে ১৬ বছর যাবত এই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি।
একদিন এক মুহূর্তের জন্য কিন্তু আমরা দলকে ছাইড়া যাই নাই। নিজের পরিবার-পরিজন স্ত্রী সন্তানকে পর্যন্ত অবহেলা করছি কিন্তু এই দলকে অবহেলা করি নাই। সেই সুযোগ যেন কেউ না পায়। আমরা রাজপথে কিন্তু সব সময় ছিলাম।