নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমরা এ দেশকে জনগণের দেশ হিসেবে পরিচালিত করতে চাই, আমরা জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা এ দেশকে রুশ ভারতের দালালি করার জন্য ১৯৭১ সালে এদেশ স্বাধীন হয় নাই। ভারতের মোদির কথা এই দেশ চলবে না। এদেশ তারেক রহমানের কথায় চলবে।
আজকের মোদি সরকার এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তার দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু করে অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বায়না ধরে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে ক্ষমতায় রাখতে চায় না। এইতো আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসানোর আপনিকে। এদেশের মালিক জনগণ জনগণ নির্ধারণ করবে এদেশের ক্ষমতায় আসবে।
আমাদের নেতা তারেক রহমান সব সময় এ দেশের মানুষের কথা চিন্তা-ভাবনা করেন এবং এদেশের মানুষের সাথেই থাকতে চায়। কিন্তু এই সরকার বিচার বিভাগকে তাদের কাঁধের উপর তুলে বিচার বিভাগের কাঁধে বন্দুক রেখে আজকে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় শাস্তি ও তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছেন।
তার একটিই কারণ যেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে। তার জন্যই সাদা দিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সাজা ফরমায়ে আসি অবিলম্বে এই সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দেয়া হোক এবং তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে আসার ব্যবস্থা করা হোক।
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বাদ আছর বন্দর থানাধীন কুড়িপাড়া এলাকায় ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের মানুষের উপর জবরদখল পাথরের মত বসে আছে। সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্র ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকেও হরণ করেছে। আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের পর থেকে এদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে নাই।
আজকে এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আপনারা জানেন মুসলমানদের এই পবিত্র রমজান মাসও এ দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন ইফতার মাহফিল না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এদেশের মানুষ কিন্তু তারেই নির্দেশ মানেননি সারা বাংলাদেশে কিন্তু মানুষ ইফতার মাহফিল করছেন।
অথচ এই সরকার মুসলমানদেরকে নিরউৎসাহি করার জন্য গত পহেলা রমজান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে তারা হামলা চালিয়েছে। আজকে এই সরকার মুসলমানদের যে অনুভূতি সে অনুভূতিতে আঘাত আনতে চায়।
আমরা বলতে চাই এই বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে বসবাস করতে চাই। কিন্তু তাই বলে আমাদের মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে বাঁধা দিবেন এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে দুর্নীতির মাধ্যমে এ দেশকে কি করেছে তা আপনারা কিন্তু বাজারে গেলি দেখতে পারেন। বিএনপির আমলে যে চাল ছিল ২২ টাকা কেজি আজকে সে চাল কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধরে। যে ওষুধ গতবছর কিনেছি ৭০ টাকা দিয়ে সে ওষুধ এবছর কিনতে হয়েছে ১৩০ টাকা দিয়ে। এক বছরের ব্যবধানে সে ওষুধের দাম ডাবল হয়ে গেছে।
আজকে সরকার জনগণের টাকা লুটেপুটে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে কোটি কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে হয়েছে। অথচ এই ঋণের বোঝা বাংলাদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজকে মানুষের দেই দূরসহ জীবন তার জন্য এই সরকারই দায়ী। এ সরকার যদি বেশিদিন টিকে থাকে তাহলে আগামীতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে চাল খেতে হবে।
আপনারা কি চান না এই সরকারের পতন হোক। তাহলে আগামী ঈদের পরে আমাদের নেতা বিএনপির দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিবেন সে আন্দোলনে আপনারা সবাই শরিক হবেন।
২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান বাদলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ মাহমুদ, বন্দর থানা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উল্লাহ টিপু, সানোয়ার হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি'র অন্তর্গত ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, যুবদল নেতা ওদুদ সাগর, মিনহাজ মিঠু, বন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিনসহ বন্দর থানা বিএনপি ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।