বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, আমাদেরকে ভালো থাকতে হলে কি করতে হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন করতে হবে।
আপনারা দীর্ঘদিন যাবত রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। আমাদের নেতা এদেশের কোটি মানুষের স্পন্দন এদেশের বীর দেশনায়ক তারেক রহমান যে এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সেটি কি। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি।
আমাদের একটাই দাবি সেটি হলো শেখ হাসিনা সরকারের পতন করতে হবে। তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আড়াইহাজার বিএনপি'র নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে যা যা দরকার তাই করবে।
আন্দোলন করতেই হবে আন্দোলনের বিকল্প কিছু নাই। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন করতে হবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশকে সফল করতে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
আজাদ বলেন, শুনেন আপনারা তো আপনাদের মা বোন ভাই বোন পরিবার নিয়েই আছেন। আপনারা আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখেন। উনি কিন্তু ওনার মায়ের সাথে থাকতে পারছেন না।
আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আপনারা সবাই ওনার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করবেন। আল্লাহ পাক যেন তাকে সুস্থতা দান করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবার হলো এদেশের মানুষের অন্তরের স্পন্দন। জিয়া পরিবার এদেশের মানুষের মনের হৃদয়ের পরিবার। এই পরিবারের প্রতি আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত রয়েছে বলে এই স্বৈরাচারী সরকার কোনো ভাবে চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছেনা।
এই দেশের নেতৃত্ব দেশনায়ক তারেক রহমান দিবেই ইনশাল্লাহ। এদেশের প্রধানমন্ত্রীও তারেক রহমানই হবে এবারই হবে ইনশাল্লাহ। এদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক হল তারেক রহমান। দেশনায়ক তারেক রহমানের ডাকে এদেশের মানুষের হিড়িক পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে হতে পারে নারায়ণগঞ্জে এটাই শেষ জনসভা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই জনসভা কে সফল করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই জনসভা ডাক দিয়েছেন দেশনায়ক তারেক রহমান।
সুতরাং এই জনসভাকে আমাদেরকে সাফল্যমন্ডিত করতে হবে। সবাই যার যার স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সেদিন জনসভায় উপস্থিত হতে হবে। আমি মনে করি সেদিন নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য উপজেলা থেকে আড়াইহাজার উপজেলা সর্বাধিক লোকজন নিয়ে সেই জনসভায় অংশগ্রহণ করবে। সেদিন আপনারা দেখিয়ে দিবেন আড়াইহাজার বিএনপি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ- সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সহ- সভাপতি, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, শাকিল হাসান, মনিরুজ্জামান খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন শফু, মাসুম শিকারী, সাজ্জাদ হোসেন আতাউর মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাচ্চু, এড. কামাল হোসেন মোল্লা, আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর হাসান সুমন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর সাকিব, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক ওসমান গনি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক বশির উদ্দিন, আড়াইহাজার উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, আড়াইহাজার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদ রানা, গোপালদী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুমন মিয়া, আড়াইহাজার সফর আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম কাকন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
