নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আপনারা জিয়া পরিবারকে ভয় পান খালেদা জিয়াকে ভয় পান তারেক রহমানকে ভয় পান। বিএনপিকে ভয় পান কেন ভয় পান বাংলাদেশ ২০ কোটি মানুষের হৃদয়ে জিয়া খালেদা জিয়া তারেক জিয়া রয়েছে।
আর আজকে বাংলাদেশ ২০ কোটি মানুষ আপনাদেরকে ঘৃণা করে আপনাদের লজ্জা থাকা দরকার। আপনারা একটি পদ্মা সেতু, ওভার ব্রিজ আর মেট্রো রেল নির্মাণ করে আপনারা উন্নয়নের দাবিদার হয়ে গেছেন। আমরা বিভিন্ন উপজেলায় গেলে দেখি রাস্তাঘাটের কি উন্নয়ন হয়েছে। বাজারে গেলে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বাক স্বাধীনতা নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই মানুষের ভোটের অধিকার নেই। তাহলে আমরা কিভাবে বেঁচে থাকি সাধারণ মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে। বলতে চাই শেখ হাসিনা আপনি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া বানাবেন না।
আপনি তো লন্ডন কানাড়ায় দ্বিতীয় বাড়ি করে রেখেছেন চলে যাবেন এদেশের ২০ কোটি মানুষের কি হবে। আপনার দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে দুর্নীতি করছে লুটপাট করেছে। জনগণের ভোট আপনারা লুটপাট করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিয়েছেন। যদি এতোই উন্নয়ন করেছেন তাহলে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিন।
দিনের বেলা ভোট দিতে আপনার কিসের ভয়। ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন করতে আপনার কিসের ভয়। এদেশের মানুষ আপনার পরিবারকে ঘৃণা করে দলকে ঘৃণা করে। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি আগামী নির্বাচনে পাঁচটি আসনে আপনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নির্বাচন করুন একটি আসনেও আপনি বিজয়ী হতে পারবেন না।
শহীদ জিয়ার দল কাউকে ভয় করে না। লোইগা বইঠা দিয়ে কাউকে হত্যা করে না। আপনারা খুনি আপনারা সন্ত্রাসী দল। সাহস থাকলে প্রশাসনকে ছাড়া আসুন। আপনার আর প্রশাসনকে ব্যবহার করবেন না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপি'র অন্তর্গত ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি'র দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। সোমবার (৮ মে) বিকেলে বন্দরের ২৬নং ওয়ার্ড এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবুর কি নেতৃত্ব দিয়েছিল না আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। তাহলে তো আওয়ামী লীগ একলা মুক্তিযুদ্ধে দাবিতার করতে পারে না। তারা এদেশে আওয়ামী লীগ করে তাদের পূর্বপুরুষরা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছিল আমাদের পূর্বপুরুষ কি এদেশে জন্মগ্রহণ করে নাই।
আওয়ামী লীগ করে তারা এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছে আমরা কি এদেশে জন্মগ্রহণ করি নাই। আমরাও কিন্তু এদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে আমাদের কি রাজনীতি করার অধিকার নাই। আজকে তারা ভাত খায় আমরা কি ভাত খাই না। আজকের জনগণ যখন বাজারে যায় বেসামাল হয়ে যায়।
আজকে দ্রব্যমূলের যে উর্ধবগতি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কিন্তু দিশেহারা ও বেশামাল হয় না। কারণ ১৪বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে অবৈধ টাকা লুটপাট করে তারা মোটাসোটা হয়ে গেছে। তাদের পকেট ভর্তি টাকা-পয়সা আছে এজন্য তারা বেসামাল হয় না।
তিনি আরও বলেন, আজকে তাদের নেত্রী সকাল থেকে ঘুম থেকে উঠে যে মিথ্যা কথা বলে এবং রাতে মিথ্যা কথা বলে ঘুমাতে যায়। তারা উন্নয়নের কথা বলে, তারা স্বাধীনতার কথা বলে। আজকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মুলা জুলিয়া আজকে মানুষকে দিধা বিভক্ত করেছে। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা একজন বীর উত্তম বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ঘোষক।
আর আপনার বাবা পঁচিশে মাস কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রাতে আত্মসমর্পণ করেছিল। আরে এসে দেখুন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানুন। মুক্তিযুদ্ধে কারা খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে কতজন আছে আর আওয়ামী লীগে কতজন আছে। রাজাকারের তালিকা দেখলে দেখা যায় ৮ হাজারের উপরে আওয়ামী লীগের রাজাকার আছে। আর আপনারা আওয়ামী লীগের নেতারা বড় বড় কথা বলেন।
সম্মেলন শেষে সফি উদ্দিন সোহেল প্রধানকে সভাপতি, মো. সালাউদ্দিন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, মাসুদুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. আমানতকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. ফারুককে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও মো. ইসলাম নারুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
মহানগর ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সফি উদ্দিন সোহেল প্রধানের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান বাদল ও মো. সালাউদ্দিন মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মো. রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপি'র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরণ।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন,মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, শাহিন আহমেদ, ফারুক হোসেন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, বন্দর থানা বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, নাছির উল্লাহ্ টিপু, ইকবাল হোসেন, মো. সেলিম, সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির, সম্রাট হাসান সুজন প্রমুখ।