বন্দরে চিকিৎসক ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিন ভাইয়ের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বন্দরের জাংগাল এলাকার মনির হোসেনের দুই ছেলে মো. সোহাগ এবং নূর মোহাম্মদ সুজন।
তাদের আরেক ভাই সোহেল মাহমুদ খান পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা বন্দরের চিড়াইপাড়া এলাকার মা মেডিকেল হল অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তারা কম্পাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন পুশ করেন বলে জানাতেন।
তবে তাদের কারো মেডিকেল এবং মেডিসিন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সার্টিফিকেট নেই। তাদের আপন ছোট ভাই পলাতক সোহেল মাহমুদ খানও ভুয়া চিকিৎসক। তিনি বিএমডিসি অনুমোদিত কিংবা একাডেমিক সনদধারী চিকিৎসক না। গ্রেপ্তারের আগেই তিনি পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতরা ডাক্তারি পেশার পরিচয়ের পাশাপাশি সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। সাংবাদিকতার পরিচয় দিলেও তাদের সাংবাদিকতার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। তারা দীর্ঘদিন সাংবাদিকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন।
এছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধ এবং স্বল্পমূল্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করতেন।
বুধবার দুপুরে র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক এ কে এম মুনিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।