ফতুল্লার মাসদাইরে নতুন মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে দশম শ্রেনীর ছাত্র তুষার আলম (১৬)।
নিহত তুষার আলম ফতুল্লা থানার মাসদাইর বাজারস্থ হুমায়ুন আহমেদের পঞ্চম তলা বিল্ডিংয়ের নীচতলার ভাড়াটিয়া একেএম সারোয়ার আলমের পুত্র। সে মাসদাইরস্থ শাহিন স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র।
রোববার(৬মার্চ) দুপুরে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে প্যান্টে পরিহিত সুতার বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নিহত তুষার আলম একটু জেদী স্বভাবের ছিলো। প্রায় সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগ জিদ করতো। গত এক সপ্তাহ পূর্বে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নস্ট হয়ে যায়। সে নতুন একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার বাবা কে জানালে এক সপ্তাহ পরে নতুন ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে বাবা।
এতে সে রাগ করে।রোববার দুপুর দুইটার দিকে সে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এসে নিজরে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়।এ সময় নিহতের মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলো।
পরে দুপুর তিনটার দিকে ভাত খেতে ডাকতে গেলে দরজায় টোকা দিয়ে ডাকাডাকি করলে কোন শারাশব্দ না পেয়ে বাসার অপর সদস্যদের সহোযোগিতা নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো নিহতের ঝুলন্ত দেহ।
পরে তাকে নামিয়ে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, রোববার দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।