নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক মারা যাওয়ার ৫ মাস পর রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহত সুমন মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে।
সে কাঞ্চন পৌরসভার শাহ আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। গতকাল বুধবার দুপুরে শাহ আলম বাদী হয়ে সাইজদ্দিন মিয়া ও শান্ত মিয়াকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শাহ আলমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোঃ সুমন মিয়া গত ১৪ জুলাই কাঞ্চন পৌর এলাকার সাইজদ্দিনের নির্মাণাধীন দুইতলা ভবনে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করছিলো। পরে সাইজদ্দিন মিয়া সুমন মিয়াকে ভবনের ছাদের আম গাছের ডাল কাটতে বলে। সুমন মিয়া বিদ্যুতের তার দেখে গাছের ডাল কাটতে অপারকতা প্রকাশ করে।
এসময় তার ছেলে শান্ত মিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাল কাটার জন্য ভবনের ছাদে উঠায়। সুমন মিয়া আম গাছের ডাল কাটতে গেলে সাইজদ্দিনের টেক্সটাইল মিলের এগারো হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সে দুইতলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পরে যায়।
তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুতের স্পর্শে পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সুমনকে ঢাকা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে নিয়ে যায়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২১ জুলাই সুমনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর শাহবাগ থানার এস আই মোঃ রিয়েল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
শাহ আলম আরো জানায়, তার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ সুমন মিয়াকে সাইজদ্দিন ও শান্ত মিয়া জোড় পূর্বক বিদ্যুতের তারে জড়ানো ডাল কাঁটার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।