নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী। প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ফুসলিয়ে তাকে ঘুরতে নিয়ে গণধর্ষণ করে সংঘবদ্ধরা।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে এক কিশোরী সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার দিবাগত রাতে একটি মামলা করনে। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে বৃহম্পতিবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- স্থানীয় সুলতানসাদী এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জাহিদ (২০),একই এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে তাইজুল (১৯), লস্করদীপূর্বপাড়া এলাকার ঈদ্রীস আলীর ছেলে সিয়াম (১৯), সিংরাটি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত(২০),একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে রবিন (২৩), রুপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত রহিম মোল্লার ছেলে বিল্লাল (১৯), একই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে জায়েদা আক্তার সাদিয়া (১৪), আড়াইহাজার উপজেলার বান্টি উত্তরপাড়া এলাকার ওয়াজ আলীর ছেলে নিরব (১৯), আলীসাদী কান্দাপাড়া এলাকার মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে খাইরুল (২২) ।
তবে এখনো পলাতক রয়েছে মামলার ২নং আসামি রাঘবদী এলাকার জহুর আলীর ছেলে সাব্বির (২০)। আড়াইহাজার থানার ওসি আনিচুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ধর্ষিতাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায়।
জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট বিকালে বান্ধবী সাদিয়ার সঙ্গে রুপগঞ্জের গাউছিয়া তাঁত বাজার এলাকায় ফুসকা খেতে যায় ভুক্তভোগী। এক পর্যায়ে সাদিয়া মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত বিল্লালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিকাল ৫টার দিকে বিল্লাল তাঁত বাজার এলাকায় এসে দেখা করে।
পরে তারা তিনজন ঘুরতে সিএনজি যোগে আড়াইহাজারের সুলতানসাদী এলাকায় জাহিদের ভাড়াবাসায় আসেন। এখানে তাইজুল, রিফাত, খাইরুল ও নিবর এসে উপস্থিত হয়। কিছু সময় এই বাসায় আড্ডা দেয়া পর তারা রাত সাড়ে ৭টার দিকে রিকশা যোগে ঘুরতে বের হয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় সিংরাটি ব্রিজের কিছূ অদূরে রাস্তায় পৌঁছলে জাহিদ, সাব্বির ও তাইজুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় অন্যরা পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এক পর্যায়ে তারাও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আড়াইহাজার থানা’র ওসি তদন্ত জুবায়ের আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।