করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে সরকারের দেয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ ২য় দিনে ফতুল্লার রাস্তাগুলোতে যানবাহন কম চলাচল করলেও মানুষের চাপ কমছে না।
গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেটে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করছে। তবে অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আটকা পড়ে লকডাউনে গাড়ি না পেয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ফিরছে।
আবার অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে পায়ে হেটে। যার কারনে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। তবে মানুষকে ঘরমুখী করতে সরকার গার্মেন্টস সহ সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রেখেও রাস্তায় মানুষের চাপ কমাতে পারছে না।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি, শিবুমাকেট, পাগলা, জালকুড়ি সহ বিভিন্ন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা- মুন্সিগঞ্জ সড়ক এবং ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে দায়িত্ব আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রিকশা থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বাধা সহ মূল সড়কে উঠতে না দিলেও রাস্তায় মানুষের চাপ কমাতে পারছে না তারা।
রাস্তায় কথা হয় ফতুল্লার শাসনগাও এলাকায় বসবাসরত ইমান হাসানের সাথে। সে জানায়, ঈদের একদিন আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে গাজীপুর শশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। ২৩ তারিখ হতে লকডাউন শুরু হবে তা জানা ছিল না। লকডাউনের কারনে গাড়ি না পাওয়ার ফলে বাড়িতে ফিরতে সমস্যায় পড়ে গেছি।
কিন্তু শশুর বাড়িতে নিজ বাড়িতে ফিরতে হবে। যার কারনে সকালে পায়ে হেটে এক কিলোমিটার গিয়ে একটি মিশুক নিয়ে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে কিছু পথ আসলাম। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গাজীপুর হতে ফতুল্লায় আসলাম।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই এডমিন কামরুল ইসলাম বেগ জানান, সরকারের নির্দেশনা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসক স্যার ও জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।