বন্দরে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলগং কর্তৃক দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে দোকান ভেঙ্গে আওয়ামী লীগ অফিস বানানোর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত সোমবার রাতে নিরিহ দোকানী হানিফ মিয়া বাদী হয়ে খলিল মেম্বারসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩(৭)২১।
চাঁদাবাজী মামলায় ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ রাতেই চাঁনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভ’ক্ত ২নং আসামী বাদশা (৪০)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ধৃত চাঁদাবাজ বাদশা বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী হানিফ মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিল দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। প্রায় ২ বছর পূর্বে খলিল মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
পরে তারা আমার বাড়ীঘর ও দোকানপাট আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় খলিল মেম্বার ও তার পালিত চাঁদাবাজ বাদশা একই এলাকার মৃত হাসান আলী মিয়ার ছেলে সরাফত আলী ও তার ছেলে মারুফসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন চাঁদাবাজ আমার দোকানের সামনে এসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এতে আমি প্রতিবাদ করলে ওই সময় সন্ত্রাসী খলিল মেম্বারসহ উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দোকান ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের অফিস বানানোর চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই চাঁদাবাজ বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আমান মামরার এজাহারবূক্ত ২নং আসামী বাদশাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।