
নিহত অটোচালক মাসুদ
প্রবাস ফেরৎ মাসুদ। বয়স ২৫ বছর। সপরিবার বসবাস করে বন্দর উপজেলার পাতাকাটা বৈরাঙ্গীরপাড়। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে বসে না থেকে মাসুদ অটোগাড়ী চালাত।
তার ইনকামে তাদের সংসার ভালোমতো চলছিল। কিন্তু একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এক র্দূগটনায় গোটা পরিবারটিকে তছনছ করে দেয়। আজও মাসুদের জন্য কাঁদে তার পরিবার।
প্রবাস ফেরৎ অটো চালক মাসুদ হত্যা মামলা নিয়ে সিআইডি তেমন কোন তৎপরতা না থাকার কারনে ঘাতকচক্ররা জামিনে বের হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী সুমনসহ তার সহযোগিরা মামলার বাদী দিনমজুর শফিউদ্দিনকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানা ভাবে হুমকি দামকি অব্যহত রেখেছে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ইং সালে ১০ আগস্ট প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় অটোচালক মাসুদ মারাত্মক ভাবে জখম হয়। পরে গত ১২ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটোচালক মাসুদ মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা শফিউদ্দিন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সুমন ও তার দুই ছেলে আব্দুর রহমান ও তারেক একই এলাকার মৃত লাল মিয়া মিস্ত্রী দুই ছেলে মোস্তাফা ও মোঃ হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২১(৮)২০২৩।
এর মধ্য মামলার ২নং এজাহরভূক্ত আসামী আব্দুর রহমান বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তির মূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে।
মামলার তথ্যসূত্রে আরো জানাগেছে, গত ২০২৩ ইং সালের ১০ আগস্ট সকাল ৬টায় মামলার বাদী বড় ছেলে মোঃ মাসুদ (২৫) অটোগাড়ী নিয়া কাজের উদ্দেশ্য বাসা হইতে বের হয়। ওই দিন সকাল ১০টায় অটো গাড়ীটি হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে অটোচালক মাসুদ তার ছোট ভাই মাহবুব হাসান (২০) কে ফোন করে বাসা থেকে ১৫০০ টাকা নিয়া দাসেরগাঁও স্ট্যান্ডে আসতে বলে।
ওই সময় অটোচালক মাসুদ তার ছোট ভাই মাহবুবকে নাস্তা খাওয়ার জন্য ১নং আসামী সুমনের হোটেলে পাঠায়। সেখানে মাহবুব সিঙ্গারা খায়।
ওই সময় হোটেল মালিক সুমন অটো চালক মাসুদের ছোট ভাই মাহাবুব হাসানের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় অটোচালক বড় ভাই মাসুদ হোটেল দোকানী সুমনকে এর কারন জিঙ্গাসাবাদ করিলে ওই সময় হোটেল মালিক সুমন ও তার ২ সন্ত্রাসী ছেলে আব্দুর রহমান ও তারেক একই এলাকার মৃত লাল মিয়া মিস্ত্রী দুই ছেলে মোস্তাফা ও মোঃ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে অটো চালক মাসুদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
ওই সময় অটোচালক মাসুদ তাদের বাধা নিষেধ করলে ওই সময় উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে হোটেল মালিক সুমনের হুকুমে তার ছেলে আব্দুর রহমান কাঠের ডাসা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাসুদ রক্তাক্ত জখম হয়।
ওই সময় স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ আগস্ট অটোচালক মাসুদ মৃত্যুবরণ করে।