
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে নালিশা ভূমি দখলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনির হোসেন (৪২) বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৬৪), ইউনুস আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম হৃদয় (২৫) এবং ফতুল্লার পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার আফতাব উদ্দিন মাদবরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫)।
এরআগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পশ্চিম লামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ীর টিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ৩টি সাইনবোর্ড তুলে নেয় এবং ১নং বিবাদীর নামে দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন ও ছমিরুন নেসার নিকট থেকে তিনি ও তার ভাই মৃত কফিল উদ্দিন মোল্লার একত্রে ৩ শতাংশ, মৃত রাজ্জাক শিকদারের মেয়ে মোসা. সেলিনা বেগম দুই শতাংশ সম্পত্তি ২০১০ সালে কিনে ভোগ দখল করে আসছিল।
উল্লেখিত বিবাদীগণ বিগত ২ বছর পূর্ব থেকে তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারাসহ বিভিন্নসময় তাদের নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে। অত:পর তারা এ বিষয়ে মৃত শাহাবুদ্দিন ছেলে মো. গোলাম রব্বানী লাবুকে (৫৫) জানালে তিনি বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং-২২৩/২৪ দায়ের করেন।
ওই মামলা বর্তমানে চলমান আছে। উল্লেখিত বিবাদীগণ আদালতের আইন অমান্য করে গত ১২ মার্চ রাতে অভিযুক্তরাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন বিবাদীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছুড়ি, চাকু ও চাপাতি নিয়ে তাদের বর্ণিত ঠিকানার বসতবাড়ীতে এসে বাসার বসবাসরত মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
বিবাদীগণ তাদের বাড়ীর সকল সদস্যদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ীর টিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ৩টি সাইনবোর্ড তুলে নেয় এবং ১নং বিবাদীর নামে দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে অভিযুক্ত ইউনুস আলী এলাকায় বিএনপি নেতা পরিচয় দেন। আর তার ছেলে হৃদয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। আর তাদের বাবা ছেলেকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম। তাদের কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম হৃদয়কে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে তবে এখনো বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় নি। এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।