
রূপগঞ্জে আট বছর বয়সের একটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে ধর্ষিত শিশুর বাবা-মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগি শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়দের দাবি, চকলেট কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে ইব্রাহিম (৫৫) নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ি শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়িওয়ালা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে বিষয়টি প্রকাশ পায় বলে জানান জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম। এরআগে দুপুরে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির পরিবার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় তানসেন নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত ইব্রাহিম রূপসী বাঘবাড়ি ব্রীজ এলাকায় কাচাঁমালের ব্যবসা করেন।
দুপুরে ইব্রাহিম শিশুটিকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় জালালের স্ত্রী ইব্রাহিমের দোকানে শুটকি কিনতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বিকেলে শিশুটি তার বাবা মাকে বিষয়টি জানান।
পরে শিশুদের বাড়িওয়ালা তানসেন ও রুবেল সহ স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন মিলে ধর্ষণের ক্ষতিপূরণ বাবদ শিশুর পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দিবেন বলে আশ্বাস দেন। রাত নয়টার দিকে এলাকাবাসী ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষোভ করেন।
এসময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রুবেল ও তানসেন মিলে ইব্রাহিমকে বাড়ি থেকে বের করে পালাতে সহযোগিতা করেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে রাত এগারোটার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম সহ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মেডিক্যাল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।